২০ লাখ টাকার নিচে ডাকাতি করেন না, এলাকার মানুষের কাছে তিনি ‘সমাজ সেবক’

| আপডেট :  ১ জুন ২০২১, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ জুন ২০২১, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ণ

এলাকায় তিনি পরিচিত সমাজসেবক হিসেবে। গরীব দুঃখীদের নিয়মিত দান খয়রাত ও করেন। তবে তার এই দান খয়রাতের টাকা তিনি কোনো সৎ উপায়ে উপার্জন করেন না। তিনি এই টাকা উপার্জন করেন ডাকাতি করে।

মুখোশধারী এই ব্যক্তির নাম নূর নবী। নোয়াখালীর হাতিয়া থানার পশ্চিম বড়ডেল গ্রামের ছেলে তিনি। চট্টগ্রামে আবুল খায়ের গ্রুপের পরিবেশকের গুদাম থেকে ৩৩ লাখ টাকার সিগারেট লুটের মূল হোতা হিসেবে রোববার (৩০ মে) রাতে সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর থানার বাগিচাগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাতির মালামাল ক্রয় করা কুমিল্লা সদরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার মো. শাহজাহান (৬০) এবং তার ছেলে মো. এনায়েত উল্লাহকে।

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গরু চুরির মাধ্যমে নুর নবীর এ পথে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সহজে লুট ও বিক্রির সুবিধার্থে তাদের পছন্দ সিগারেট। তবে তারা ২০ লাখ টাকার মূল্যমানের নিচে মালামাল লুট করেন না। নগরের ডবলমুরিং থানার পোস্তারপাড় এলাকায় ২৭ মে আবুল খায়ের গ্রুপের ডিলার খাজা ট্রেডার্সের গুদামে ডাকাতি করে ৩২ লাখ টাকার সিগারেট নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় মামলা হলে তদন্ত করতে গিয়ে ডবলমুরিং থানা-পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে আন্তজেলা এই ডাকাতদলের এই সন্ধান পায়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) নোবেল চাকমা জানান, আগে বিভিন্ন দোকানে ডাকাতি করলেও বছর খানেক ধরে নূর নবী ও তার দলের টার্গেট বিভিন্ন সিগারেটের দোকান ও গুদাম। যেসব দোকানে অন্তত ২০ লাখ টাকার সিগারেট পাওয়া যাবে সেসব দোকান কিংবা গুদাম হচ্ছে তাদের ডাকাতির লক্ষ্য।এই ডাকাতদলে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের প্রধান নুর নবী। দলের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।