বড় ভূমিকম্পের শঙ্কায় সিলে্ট

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২১, ০৩:২৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২১, ০৩:২৩ অপরাহ্ণ

প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকাংশেরই পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া যায়না। একারনে সু্যোগ থাকে না কোনো পূর্ব সতর্কতারও। এর ফলে অন্য যেকোনো দুর্যোগের তুলনায় বড় ধরনের ভূমিকম্পে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর বর্তমানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কায় রয়ছে সিলেট।

ইতোমধ্যে সিলেটে শনিবার (২৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারবার ভূমিকম্প হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে ও পরে ছোট ছোট ভূমিকম্প হতে পারে। আর সিলেট ভূমিকম্পের অধিক ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাভুক্ত বিধায় বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ছোট ছোট একাধিক ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হওয়ায় আপাতত বড় ধরনের কিছু হওয়ার শঙ্কা নেই।

ভূমিকম্পের নিয়ে সিলেট এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত সিকদার বলেন, প্রথমবার যখন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  ভূমিকম্প অনুভূত হয় তখন মানুষের মনে তেমন আতঙ্ক ছিল না। কিন্তু ১১টার দিকে ভূমিকম্প হলে সকলে আতঙ্কিত হয়ে যায়। আর এরপর ধাপে ধাপে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার জন্য মানুষ এদিক-সেদিক ছুঁটাছুটি করতে থাকেন। এলাকাবাসী এখনও ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

ভূমিকম্পের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, মৃদু ভূমিকম্প বা ছোট ভূমিকম্প হয়, বড় ভূমিকম্প হওয়ার আগে আগে। সাধারণত ছোট ছোট ভূমিকম্প হলে, তার কিছুক্ষণ পর বড় ভূমিকম্প হয়। কিন্তু সিলেটে সেটি হয়নি। সুতরাং এখানে ভয়ের কিছু নেই। বড় ভূমিকম্প এখনই হচ্ছে না।

প্রসংগত, সিলেটে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে যে ভূমিকম্প হয়েছে রিখটার স্কেলে সেটা ছিল ৩ দশমিক শূন্য। দ্বিতীয় ঝাঁকুনি ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে হয়েছে, রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। তৃতীয়টা ১১টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। চতুর্থটি ২টার দিকে যে ভূকম্পন অনুভূত হয়, সেটার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক শূন্য। চারটির উৎপত্তিস্থলই ঢাকা থেকে প্রায় ১৯৬ কিমি উত্তর পূর্বে।