এলাকার মূর্তিমান আ’তঙ্ক সাবেক এমপি আউয়ালের দখলবাজিতেই ৭ খু’ন, সরকারের জমিতে গড়ে তোলেন প্রকল্প

| আপডেট :  ২২ মে ২০২১, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ মে ২০২১, ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ

মমিন বক্স ছিলেন এলাকার মূর্তিমান আ’তঙ্ক। রাজধানীর পল্লবীর ৯ নম্বর ও ১২ নম্বর সেকশনে হ’’ত্যা, স’ন্ত্রাস, চাঁ’দাবাজি, ভূমিদস্যুতার অ’ভিযোগে স্থানীয় থানায়ই তাঁর নামে ১৮ মা’মলা। জমি দ’খল ছিল তাঁর মূল কাজ। পাঁচ বছর আগে এই প্রভাবশালী স’ন্ত্রাসীর লা’শ মেলে কালশী এলাকায়। তাঁর এলাকায় গত ১৫ বছরে খু’ন হয়েছে আরো ছয়জন। সর্বশেষ গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর ডি-ব্লকে ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে একটি গ্যারেজে স্থানীয় জয়নুদ্দিনের ছেলে সাহিনুদ্দিনকে নৃ’শংসভাবে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করা হয়। পল্লবীর সিরামিকের গলির পাশে বুড়িরটেক, টেকেরবাড়িসহ আশপাশে আরো পাঁচজন খু’ন হয়েছেন। তাঁরা হলেন কলেজছাত্র চঞ্চল, শ্রমজীবী পাগ’লা খোকন, মুসা, মিন্টু ও আব্বাস।

কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুরের পল্লবীর বাউনিয়া মৌজায় ১৬৮ একর জমি দ’খল নিয়ে বি’রোধের জেরে খু’ন হয়েছেন সাতজন। ৪৭ বছর আগে ঢাকা জে’লা প্রশাসনের অধিগ্রহণ করা ওই জমির একটি অংশে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ‘স্বপ্ননগর’ নামে আবাসিক প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পে স’রকার ১১ হাজার ২৬৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। অথচ সেই জায়গায়ই লক্ষ্মীপুরের সাবেক সং’সদ সদস্য এবং তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাস’চিব আব্দুল আউয়াল প্রভাব খাটিয়ে তাঁর হ্যাভেলি প্রপার্টিজ কম্পানির মাধ্যমে ‘আলীনগর আবাসিক এলাকা’ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন। যেখানে অধিগ্রহণের বাইরে এক ইঞ্চি জমিও নেই তাঁদের। ওই জমিতে দ’খল ও অধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় বাসিন্দা ও স’ন্ত্রাসীদের দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন আউয়াল। দ’খল বি’রোধে সাত খু’নের পাশাপাশি হয়েছে তিন ডজনেরও বেশি মা’মলা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দা জয়নুদ্দিনের দুই ছেলে সাহিনুদ্দিন ও মাইনুদ্দিনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরেই হ্যাভেলি কম্পানির বি’রোধ চলছিল। মাঝে সাহিনুদ্দিন হ্যাভেলির সঙ্গে সমঝোতা করলেও সম্প্রতি তাঁদের ১০ একর জমির দ’খল ফেরত চাইছিলেন। দ’খল টিকিয়ে রাখতে আউয়াল ও তাঁর কম্পনির মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের দুই ডজনের বেশি স’ন্ত্রাসীকে পুষছেন। স্থানীয়দের মধ্যে যারা অ’পরাধ কর্মকাণ্ড করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তাদেরই দলে ভেড়ায় হ্যাভেলি। জমি দ’খল সিন্ডিকে’টের প্রশ্রয়ে এলাকাটি ইয়াবা কারবারি, ছি’নতাই ও ডাকাতিতে জ’ড়িতদের অভ’য়রাণ্যে পরিণত হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন বেপারী ছাড়াও পল্লবী সেকশন-১২ ডুইপনগরের দিপু গ্রুপ, সিরামিকস এলাকার রাজন গ্রুপ, টেকেরবাড়ির আবুল গ্রুপ এবং ইয়াবা বাবু গ্রুপের স’ন্ত্রাসীদের প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতখরচ দেন আউয়াল। নিজেদের প্রয়োজনে দ’খলদাররা কথিত মালিকদের দিয়ে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বি’রুদ্ধে মা’মলাও করাচ্ছে। অধিগ্রহণ করা জমি মেপে গৃহায়ণ খুঁটি বসালেও সেসব খুঁটি সরিয়ে ফে’লে স’ন্ত্রাসীরা।

দ’খলদারিতে খু’নের জনপদ
২০১৫ সালের ৮ জুলাই মোহাম্ম’দপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের টেকেরবাড়ির সামাদ বক্সের ছেলে মমিন বক্সকে। চার দিন পর কালশী ব্রিজ থেকে তাঁর লা’শ উ’দ্ধার হয়। হ্যাভেলি প্রপার্টিজের হয়ে কাজ করা স’ন্ত্রাসী মমিন বক্সের সঙ্গে চাচাতো ভাই আমানউল্লাহ ও সাগুফতা প্রপার্টিজের বি’রোধ ছিল। কয়েক বছর আগে আমানউল্লাহকে গু’লি করে ১২ নম্বর সেকশনের ধ-ব্লকের স’ন্ত্রাসী মামুনের সহযোগী রানা। এরপর মামুনের সঙ্গে আঁতাত করে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় আমান। তখন আউয়ালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। অন্যদিকে সাগুফতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল মোল্লার ঘনিষ্ঠ ছিলেন আমান।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, হ্যাভেলি প্রপার্টিজের সঙ্গে সাবেক জমির মালিক জয়নুদ্দিনের ছেলে মাইনুদ্দিনের বি’রোধ চলছিল। তাঁদের জমি থেকে সরাতে হু’মকি দিচ্ছিলেন মমিন। উল্টোদিকে মাইনুদ্দিনের পক্ষ নেন আমান। ২০১৫ সালের ১৪ মে বুড়িরটেকে দুই পক্ষের সং’ঘর্ষের সময় বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র চঞ্চলকে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করা হয়। এই হ’’ত্যা মা’মলায় মমিনকে আ’সামি করেন চঞ্চলের ভাই সাইফুল ইসলাম। মমিন বক্স খু’নে প্রথমে সাইফুলকেই আ’সামি করে নি’হতের স্বজনরা। পরবর্তী সময়ে চঞ্চলের মা সালমা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলেকে খু’ন করেছে বিল্লাল ও খলিল নামের দুই স’ন্ত্রাসী, তারা এখনো ধরা পড়েনি।’

মমিনের ছোট ভাই আতিক বক্স বলেন, দুই খু’নের মূল পরিকল্পনাকারী আমান। তাঁর স’ন্ত্রাসী বাহিনী মমিনের জমি ও মাছের ঘের দ’খল করে নিয়েছে। চঞ্চল খু’নের পর অন্য একটি মা’মলায় আমান পুলিশের হাতে ধরা দেন। আমান পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মমিনকে খু’ন করা হয়, যেন কেউ আমানকে স’ন্দেহ করতে না পারে। পরে আসল র’হস্য জেনে পল্লবী থানার দুই এসআই, আমানসহ কয়েকজনের বি’রুদ্ধে মা’মলা করেন স্বজনরা। আমানের বি’রুদ্ধে খু’ন, অ’পহরণসহ ১৪টি মা’মলা আছে। মমিন হ’’ত্যা মা’মলায় গো’য়েন্দা পুলিশ (ডি’বি) গাড়িচালক সোহেল ও স্থানীয় হায়দারকে গ্রে’প্তার করেছে।

অনুসন্ধানকালে স্থানীয়রা জানান, মমিনের প্রতিপক্ষের তিনজন র’হস্যজনকভাবে খু’ন হয়েছিল। এর মধ্যে মাছের খামারের পাগ’লা খোকন ও ডি-ব্লকের মিন্টু অন্যতম। গৃহায়ণ প্রকল্পের মধ্যে মাছের খামারেই পাওয়া যায় পাগ’লা খোকনের লা’শ। পরে জলাধারটি দ’খল করেন মমিন। খোকনের ভাই বাবুল বলেন, ‘ঝামেলা আছে, এসব বি’ষয় আমি জানি না। বলাও ঠিক হবে না!’

প্রায় সাত বছর আগে কালাপানির মুসা খু’ন হয়। এর আগে ডিওএইচএস সড়কে খু’ন হয় পাকিস্তানি মোহাম্ম’দ আলী। মুসা গংই তাকে হ’’ত্যা করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে এই দুই পক্ষই জমি দ’খল চ’ক্রে জ’ড়িত ছিল। মুসা ছিল মমিনের ঘনিষ্ঠ।

২০০৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সিরামিকের পেছনে কু’পিয়ে হ’’ত্যা করা হয় আব্বাস নামে এক যুবককে। স্থানীয় ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্বাস পুলিশ-র‌্যা’বের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বুড়িরটেকের বাসায় গেলে আব্বাসের ছোট ভাই আক্কাস বলেন, জমি দ’খলে নিতে হ’’ত্যা করা হয় আব্বাসকে। তখন চাঁদপুরের হাইমচরের একটি গ্রুপ ওই বস্তিতে বসবাস করছিল। পঞ্চা, অখিল, নীলকান্ত, স্বপন, সাত্তারসহ কয়েকজন মিলে হ’’ত্যা করে আব্বাসকে। অথচ পুলিশ এসে বস্তির সাধারণ লোকজনকে গ্রে’প্তার করে। এই কৌশলে খালি করা হয় বস্তি। অ’ভিযোগ করলে নি’হত আব্বাসের ভাইদের বি’রুদ্ধে ১৩টি মি’থ্যা মা’মলা করা হয়! এরপর আব্বাস হ’’ত্যা মা’মলার খোঁজই নেয়নি পরিবার। স্বজনরা ভ’য়ে মুখ না খুললেও এক প্রতিবেশী বলেন, মূলত ওই সময়ই আউয়াল হ্যাভেলি কম্পানি করে বুড়িরটেকে তাঁদের দ’খলদারি শুরু করে। প্রভাবশালী ওই দ’খলদারদের সঙ্গে আঁতাত করে জয়নুদ্দিনের ছেলেরা, ক্যাডার মমিন বক্স ও আমান। আব্বাস হ’’ত্যায় হিন্দু আ’সামিরা জা’মিন পেয়ে দেশ ছেড়েছে, পুলিশের সোর্স সাত্তার আছে এলাকায়ই।

সাহিনুদ্দিন যেভাবে টার্গেটে
স্থানীয়রা বলেন, জয়নুদ্দিনের ছেলে মাইনুদ্দিন হ্যাভেলির আউয়াল ও তাঁর সহযোগী আবু তাহেরের সঙ্গে বি’রোধে জড়ালেও সাহিনুদ্দিন সমঝোতা করে চলছিলেন। কয়েক বছর ধরে তাঁদের অধিগ্রহণ করে নেওয়া জমি (যেটির মালিকানা দাবি করছেন) আলীনগর প্রকল্পে দিতে আউয়ালের প্রস্তাবে রাজি হন তিনি।

সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম অবশ্য বলেন, উত্তর কালশীর বুড়িরটেকের আলীনগর এলাকায় তাঁদের প্রায় ১০ একর জমি আছে। হ্যাভেলির দ’খল থেকে ওই জমি রক্ষায় তাঁর স্বামী জয়নুদ্দিন বা’দী হয়ে ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আ’দালতে মা’মলা (ঢাকা দেওয়ানি মা’মলা নং-১১৮/১৫) করেন। ছেলেরাও জমি দ’খল চায়। এতে আউয়াল ক্ষু’ব্ধ হয়ে সুমনকে দিয়ে গত বছরের নভেম্বরে সিরামিক ২ নম্বর গেটের সামনে প্রথম দফায় সাহিনুদ্দিনকে কু’পিয়ে হ’’ত্যার চেষ্টা করে। তখন মা’মলা করলে সুমনসহ কয়েকজন গ্রে’প্তার হয়। জে’ল থেকে বের হয়ে একই চ’ক্র তাকে হ’’ত্যা করেছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আউয়ালের দ’খলদারিতে ক্ষ’তিগ্রস্ত হচ্ছেন আরো অনেকে। সম্প্রতি মোস্তফা কামাল নামে সাবেক এক সে’না কর্মকর্তার জমি দ’খল করার চেষ্টা করে আউয়াল বাহিনী। এক পর্যায়ে মোটা অঙ্কের চাঁ’দা না পেয়ে জমিতে ঢুকে ব্যাপক ভা’ঙচুর ও লু’টপাট চা’লায় তারা। গত ৭ মে পল্লবী থানায় একটি মা’মলা করেন মেজর (অব.) মোস্তফা কামাল। সাহিনুদ্দিনরা ওই ঘটনায় মোস্তফা কামালের পক্ষ নেন। এতে ক্ষু’ব্ধ হয় আউয়াল গ্রুপ।

ডি’বি পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-মিরপুর) মানস কুমার পোদ্দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জমির বি’রোধের জেরে সাহিনুদ্দিন খু’ন হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষ খু’নিরা শনাক্ত। এর পেছনে কী আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগের মা’মলাগুলোর চার্জশিট হয়ে গেছে।’

অধিগ্রহণের জমিতেই রাজত্ব!
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, মিরপুরের বাউনিয়া মৌজার সিএস ৩১২৪ এবং ৩১২৭ নম্বর দাগের সব জমি এলএ কেস নম্বর ৫/৭২-৭৩-এর মাধ্যমে অধিগ্রহণ করে ঢাকা জে’লা প্রশাসন। ১৯৯০ সালের ৩০ এপ্রিল জে’লা প্রশাসন তৎকালীন গৃহসংস্থান অধিদপ্তরকে ওই জমি হস্তান্তর করে। পরবর্তী সময়ে মিরপুরের ৯ নম্বর সেকশনের ওই জমি দ’খলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি দাগের জমির ও’পর দিয়ে ১২০ ফুট প্রশস্ত কালশী-ইসিবি-ডিইউএইচএস-১২ নম্বর সড়ক চলে গেছে। নোটিশ দেওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট পুলিশ ও ম্যা’জিস্ট্রেটের সহায়তায় আলীনগরের পাশে রশিদেরটেকে উ’চ্ছেদ অ’ভিযান চা’লায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। সেখানে ২০ একর স’রকারি জমি খালি করার পর এক হাজার ৫৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ৯ নম্বর সেকশনে পুরো ১৬৮ একর জমির ও’পর স’রকারি ১১ হাজার ২৬৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প চলছে। রাতের আঁধারে পাশের সীমানা পিলার গায়েব করে ফে’লে ভূমিদস্যুরা।

ওই এলাকায় স’রকারি সম্পত্তি উ’দ্ধারে গেলে গণপূর্তের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (মিরপুর) জিয়াউর রহমানের বি’রুদ্ধে লু’টপাটসহ বিভিন্ন অ’ভিযোগে ১৮টি মা’মলা করে সাজানো জমির মালিকরা। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে বদলি করা হয় জিয়াউরকে। তিনি এখন মোহাম্ম’দপুরে কর্মরত। জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘হ্যাভেলির দ’খলে এখনো অনেক জমি আছে। প্রকল্পের এলাকা অনুযায়ী কিছু আমি উ’দ্ধার করেছিলাম। ফ্ল্যাট প্রকল্পের থার্ড ফেজের কাজের সময় আরো জমি পড়বে। যেসব সাজানো মা’মলা করেছে তাতে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ জিতেছি। আমি ওখান থেকে চলে এসেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

সূত্র জানায়, বুড়িরটেকের প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্ম’দ আলীর নামেই আলীনগর নামকরণ করে আউয়ালের হ্যাভেলি প্রপার্টিজ। মোহাম্ম’দ আলীর ১০ ছেলে ও দুই মেয়ে ওই জমির মালিক ছিলেন। তাঁদের ছয়জন এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এখনো বসবাস করছেন জয়নুদ্দিন (খু’ন হওয়া সাহিনুদ্দিনের বাবা) ও সামসুল আলমের পরিবার। জয়নুদ্দিনের ছেলে মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এই জমি স’রকার অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। পুনর্বাসন সুবিধা এবং অধিগ্রহণ অবমুক্তি পাওয়ার আশায় আমরা আছি। উ’চ্ছেদ করলে চলে যেতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আউয়াল সাহেবকে আমরা জমি অবমুক্ত করার জন্য পাওয়ার দিয়েছিলাম। তিনি এখানে দ’খল করে অ’বৈধ কম্পানি খুলে বসেছেন। এই দ’খলের জন্যই এত খু’নাখু’নি হয়েছে।’ সূত্রঃ কালের কণ্ঠ