সব
কয়েকবছর যাবৎ ই মা’দকবি’রোধী অ’ভিযানে তৎপর রয়েছে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু আবার স্বয়ং পুলিশ কর্মকর্তার বি’রুদ্ধেই উঠেছে গাঁ’জা বিক্রির অ’ভিযোগ। ইতোমধ্যে উ’দ্ধারকৃত গাঁ’জা বিক্রি করার অ’পরাধে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রে’ফতার করে জে’ল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনায়। অ’ভিযুক্ত ওসিম উদ্দিন পাবনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওসিম উদ্দিনের বি’রুদ্ধে মা’দকবি’রোধী অ’ভিযানে জ’ব্দ করা গাঁ’জা চু’রির অ’ভিযোগে মা’মলা হয়েছে। পাবনা জে’লা পুলিশের গো’য়েন্দা শাখার পরিদর্শক জিন্নাত স’রকার বা’দী হয়ে পাবনা সদর থানায় এ মা’মলা করেন।
জানা গেছে, গ্রে’ফতার এসআই ওসিম চুয়াডাঙ্গা জে’লার দামুহুদা থানার কেশবপুর গ্রামের মৃ’ত আকবর আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মা’দক নিয়ন্ত্রণ আইনে মা’মলা দা’য়েরের পর তাকে জে’লহাজতে পাঠানো হয়।
মা’মলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল পাবনা সদর থানার তিনগাছা রাজাপুর গ্রামের চম্পা খাতুনের বাড়ি থেকে অ’ভিযুক্ত এসআই ওসিম উদ্দিন ৫ কেজি গাঁ’জাসহ এক আ’সামিকে আ’টক করে সদর থানায় মা’মলা করেন। ঘটনার পর গো’পন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ’পরাধ) মাসুদ আলম জানতে পারেন যে, এসআই ওসিম বিপুল পরিমাণ গাঁ’জা উ’দ্ধার করে মাত্র পাঁচ কেজি গাঁ’জাসহ মা’মলার আ’সামিকে চালান করেছে।
বি’ষয়টি নিশ্চিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামানসহ গো’য়েন্দা পুলিশের একটি দল সোমবার (২৬ এপ্রিল) পাবনা সদর সার্কেলের অ’ভিযুক্ত এসআই ওসিম উদ্দিনকে জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্বী’কারোক্তি অনুযায়ী পাবনা সদর থানা ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষের ওয়াল কেবিনেট থেকে কয়েকটি লাল পলি ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় প্রায় ১২ কেজি গাঁ’জা উ’দ্ধার করা হয়। এ সময় এসআই ওসিম অ’সাধুপায়ে বিক্রির উদ্দেশে গাঁ’জাগু’লি নিজ হেফাজতে রেখেছিল বলে স্বীকার করে।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই মা’দক বিক্রি চ’ক্রের সাথে ওই থানার অ’জ্ঞাতনামা আরও সদস্য যুক্ত থাকতে পারে। এ বি’ষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ’পরাধ) মাসুদ আলম বলেন, ঘটনাটির ত’দন্ত চলছে। অ’ভিযুক্ত এসআই ওসিমকে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া অ’ভিযোগের প্রমান পাওয়ায় তার বি’রুদ্ধে তাৎক্ষণিক নিয়মিত মা’মলা দা’য়ের করে জে’ল হাজতে পাঠানো হয়েছে।