ফেসবুকের পরিচয়ে ৩ বিয়ে, চতুর্থতে জেলে

| আপডেট :  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৮ অপরাহ্ণ

ফেসবুকের পরিচয়ে একে একে করেছেন তিন বিয়ে। প্রতিবারই কিছুদিন সংসার করেই প্রতারিত করেছেন স্ত্রীদের। বিভিন্ন অজুহাতে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন চতুর্থ বিয়েরও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চতুর্থ বিয়ে করতে গিয় গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ায়। গ্রেপ্তারকৃত আবু রায়হান মনির (২৭) বগুড়া সদরের আকাশতারা গ্রামের সেনাসদস্য (অব.) আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিট) বগুড়া থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাসের পর একটি কসমেটিকস কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, মনির প্রথম স্ত্রীকে অসৎ চরিত্রের অপবাদ দিয়ে সংসারে চার বছরের এক শিশুকন্যা থাকা অবস্থায় ডিভোর্স দিয়েছিলেন। এরপর ফেরবুকে পরিচিত এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সংসারও বেশিদিন টেকেনি। ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

এরপর ফেসবুকে শাজাহানপুর উপজেলার টেকুরগাড়ী গ্রামের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার আসল নাম-পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয়ে ২০২০ সালের জুনে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলে শাশুড়ির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয় রায়হান। পরে রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় নারী ও শিশু ডেস্কে সহায়তা চায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।

পরবর্তীতে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রায়হানকে বগুড়া সাতমাথা থেকে গ্রেপ্তার করে করা হয় এবং শনিবার (২৪ এপ্রিল) তৃতীয় স্ত্রীর করা প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় শাজাহানপুর থানা পুলিশ।

জানা গেছে, পুলিশ একাধিকবার চেষ্টা করেও রায়হানকে ধরতে পারছিলো না। পরে নানা কৌশল অবলম্বন করে হোয়াটসঅ্যাপে নারী সেজে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁদে ফেলে শুক্রবার রায়হানকে বগুড়া সাতমাথা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশের নারী ও শিশু ডেস্কের কর্মকর্তা এসআই জেবুন্নেছা জানান, আবু রায়হান মনিরকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে তার প্রতারণার অজানা তথ্য। ২০১২ তিনি সালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নিশি আকতার নামে এক নারীকে প্রথম বিয়ে করে। শিশুকন্যার বয়স যখন চার বছর তখন অসৎ চরিত্র অপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় রায়হান। এরপর ২০১৭ সালে বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকার সানজিদা নামে আরেক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাকে ডিভোর্স না দিয়ে শুধু সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসে রায়হান। তবে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে শেষ রক্ষা হলো না রায়হানের। হোয়াটসঅ্যাপে এক নারীকে প্রেমিকা সাজিয়ে দেখা করার জন্য ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।