সব
ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশাল আসা যুবক প্রেমকান্তের (৩৬) ও’পর আ’ক্রমণের পুরো ঘটনাই ছিল সাজানো। মা’রধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনটি বলছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরপরই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেমকান্ত।
সেইসূত্রেই সর্ম্পকের অ’বনতি হয়। পরে প্রকাশ্যে তাদের মধ্যে কথাকা’টাকাটিও হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে থানায় হস্তান্তর করলে আত্মরক্ষার্থে মি’থ্যার আশ্রয় নেন। অ’ভিযোগ তোলেন মা’রধর ও টাকা, মোবাইল নিয়ে যাওয়ার। প্রেমকান্তের এসব অ’ভিযোগ অসত্য বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মা’রধরের ঘটনা ঘটেনিঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধু। পরে ২৪ জুলাই প্রেমকান্ত বরিশালে চলে আসেন। ২৫ জুলাই একটি রেস্তোরাঁয় ওই কলেজছাত্রী তার তিনজন বান্ধবীসহ দেখা করেন। এমনকি দুপরের খাওয়া শেষে চলে যান। ২৭ জুলাই প্রেমকান্তের অনুরোধের কারণে কাশিপুর এলাকায় দু’জনে দেখা করেন। সেখানে চলমান অটোরিকশার মধ্যে বসে তারা কথা বলছিলেন।
একপর্যায়ে প্রেমকান্ত ওই ছাত্রীকে খা’রাপ সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তার সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার জন্যও চা’প সৃষ্টি করেন। কলেজছাত্রী প্রেমকান্তের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা উচ্চস্বরে ঝ’গড়ায় রূপ নেয়। তাদের দু’জনের বহনকারী গাড়িটি থামিয়ে দেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে বি’ষয়টি বিমানবন্দর থানায় অবহিত করেন। সেখান থেকে পুলিশ এসে প্রেমকান্তকে হেফাজতে নেয়।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ হালদার বলেন, প্রেমকান্তের অ’ভিযোগগুলো ত’দন্ত করেছি। ত’দন্তে তার করা অ’ভিযোগুলো অসত্য বলে ওঠে এসেছে। কাশিপুরের সড়কে যে ভিডিও ফুটেজের কথা বলছেন সেখানে ওই যুবকের সঙ্গে হা’তাহাতি হয়েছে। তাকে কেউ মা’রধর করেনি।
ওসি বলেন, প্রেমকান্ত নামক ওই যুবক বারবার আমাকে বলছিলেন সেই ত’রুণীকে তার সঙ্গে দিয়ে দিতে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ত’রুণীর বিয়ে বাংলাদেশে আইন পরিপন্থী কাজ বলার পরও একই দাবি করছিলেন। হাইকমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তার পর তিনি ঢাকায় না গিয়ে শহরে চলে আসেন।
কলেজছাত্রীর পরিবার যা বলছেঃ প্রেমকান্তের কথিত প্রেমিকা কলেজছাত্রী দাবি করেছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। আমি তার প্রেমিকা না। আসলে তার কথায় রাজি না হওয়ায় আমার ক্ষ’তি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি মিডিয়াতে আমার সন্মান ন’ষ্ট করতে বক্তব্য দিয়েছে।
কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি নিজে কলেজে এসে নিশ্চিত হয়ে গেছেন। সেই তথ্য হাইকমিশনে জানালে ওই যুবককে দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সে দেশে না ফিরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে, আমার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ অ’পপ্রচার চা’লিয়ে আসছে। ’
তিনি আরো বলেন, এমনকি সেইসব অ’পপ্রচার সে টেলিভিশন-পত্রিকাতেও বলছে। ফলে আমি আমার পরিবার নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবো তা নিয়ে ঝুঁ’কিতে আছি। আমার মেয়ের ভবি’ষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই যুবকের মি’থ্যা তথ্যে আমরা মা’রাত্মক ক্ষ’তিতে রয়েছি। আমরা এলাকায় পা’লিয়ে বেড়াচ্ছি।
থানায় কলেজছাত্রীর পরিবারের জিডিঃ প্রেমকান্তের বি’রুদ্ধে কলেজছাত্রীকে উ’ত্ত্যক্তের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর পরিবার এ ব্যাপারে আইনি সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বরগুনার তালতলী থানার ওসি আলী আহম্ম’দ বলেন, প্রেমকান্তের বি’রুদ্ধে এক ত’রুণীকে কু-প্রস্তাব প্রদানের লিখিত অ’ভিযোগ পেয়েছি। যদি এমন ঘটনা তিনি ঘটান তা অবশ্যই অ’পরাধ। আমরা অ’ভিযোগটির ত’দন্ত করছি।
জি’ডির বরাতে ওসি বলেন, মেয়েটির বাবা অ’ভিযোগ করেছেন তার মেয়েকে প্রেমাকান্ত অশালীন প্রস্তাব দিয়ে ঢাকা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। মেয়ে এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমাকান্ত তালতলী চলে যান। ওই যুবক তার মেয়ের যেকোনো ধরনের ক্ষ’তি করতে পারেন। তিনি তার মেয়ের নিরাপত্তা চান।
অ’ভিযোগ অস্বীকার করে প্রেমকান্ত বলেন, ‘থানায় যে অ’ভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, আসলে এমন কোনো আচরণ আমি করিনি। ওই মেয়ের সঙ্গে হোটেলে, কলেজে এবং কাশিপুর চৌমাথায় দেখা হলেও খা’রাপ কোনো প্রস্তাব দেইনি।’ সূত্রঃ কালের কন্ঠ