যেভাবে শুটার আকাশকে ধরেন পুলিশ অফিসার খোরশেদ

| আপডেট :  ২৮ মার্চ ২০২২, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ মার্চ ২০২২, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

স’ন্ত্রাসীদের গু’লিতে নি’হত আওয়ামী লীগ নেতা টিপু এবং নিরীহ রিকশা আরোহী প্রীতি হ’’ত্যাকাণ্ডের শুটার মাসুম আকাশকে গ্রে’ফতার করা হয় বগুড়ার চারমাথা এলাকা থেকে। গত ২৬ শে মার্চ সকালে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়। বগুড়া সদর থানার এসআই খোরশেদ আলম আকাশকে শনাক্ত করে এবং কারও সহযোগিতা ছাড়া একাই অ’ভিযান শুরু করেন।

খোরশেদ আলম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, টিপু হ’’ত্যাকাণ্ডের পর গত ২৫ মার্চ মামুন পরিচয়ে বগুড়ার একটি হোটেল খাজা বডিংয়ে ওঠে আকাশ। খোরশেদ আলম তার সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে সেখানে একাই গিয়ে হাজির হন।

পরে সেখানকার ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনি জানান ঢাকা থেকে আকাশ নামে কেউ আসেনি তবে মামুন নাম করে একজন গেস্ট ৬ নাম্বার রুমে আছেন। এরপর খোরশেদ আলম থানা থেকে আটজনের একটি টিম ডেকে নিয়ে অ’ভিযান শুরু করেন। সকাল সাতটায় হোটেলের সব রুমে বাইরে থেকে লক করে প্রতি রুমে চা’লানো হয় তল্লা’শি।

৬ নাম্বার রুমের সেই গেস্ট মামুনের সাথে শুটার আকাশের ছবি মিলে গেলে তাকে আ’টক করা হয় এবং তার সাথে কোন অ’স্ত্র আছে কিনা সেটি জানতে রুমে চিরুনি তল্লা’শি চা’লানো হয়। কিন্তু তার সাথে কোনপ্রকার অ’স্ত্র পাওয়া যায়নি। এরপর তাকে সদর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, শুটার আকাশকে আ’টকের জন্য অ’ভিযান পরিচালনা করে ঢাকার বিডি পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বগুড়া থেকে আ’টক করা হয় আকাশকে। ভারতে যাওয়ার জন্য প্রথমে শুটার আকাশ জয়পুরহাট যান। ভারতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে আকাশ বগুড়ার খাজা হোটেলে এসে আশ্রয় নেন।