প্রতিবেশী রাস্তা না দেয়ায় পুকুর পেরিয়ে নেয়া হলো লাশ (ভিডিও)

| আপডেট :  ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪৬ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুর্ব বি’রোধের জেরে মনমোহিনী দাস (৯০) নামের এক বৃ’দ্ধার ম’রদেহ দাহ করতে শ্মশানে যেতে রাস্তা না দেয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে। পরে পুকুর পেরিয়ে ওই ম’রদেহ শ্মশানে নিয়ে দাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজে’লার তালশহর (পশ্চিম) ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার এসংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালশহর পশ্চিম পাড়ার মৃ’ত কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে হরিধন দাসের পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বি’ষয় নিয়ে বি’রোধ চলে আসছিল প্রতিবেশী পরিমল দাস ও হারাধন দাসের পরিবারের। হরিধন দাসের বাড়ি থেকে বের হতে নিজের মালিকানাধীন কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির উত্তর ও দক্ষিণ পাশের বাড়িগুলোর ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে হরিধন দাসের ৯০ বছর বয়সী মা মনমোহিনী দাস মা’রা যান। তার ম’রদেহ শ্মশানে দাহ করতে পরিমল দাস ও হারাধন দাসে বাড়ির ও’পর দিয়ে নিয়ে যেতে অনুমতি চান হরিধন দাসের ছেলে বিজয় দাস। এসময় হারাধন দাস তাদের বাড়ির ও’পর দিয়ে ম’রদেহ নিয়ে যেতে নিষেধ করেন। পরে বা’ধ্য হয়ে পুকুরের পানিতে নেমে এক পাশ দিয়ে ম’রদেহ শ্মশানে নেয়া হয়।

হরিধন দাসের ছেলে বিজয় দাস অ’ভিযোগ করে বলেন, পরিমল দাস ও হারাধন দাসের পরিবারের সঙ্গে আগে থেকে আমাদের ঝামেলা ছিল। আমাদের সম্প্রদা’য়ের কেউ মা’রা গেলে ম’রদেহ শ্মশানে নিতে ওই বাড়ির ও’পর দিয়ে নিতে হয়। এজন্য ওই বাড়ির অনুমতি নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হারাধন দাস ম’রদেহ নেয়ার অনুমতি দেননি, বলেছেন অন্য দিকে রাস্তা বানিয়ে নিয়ে যেতে।

বিজয় দাস আরও বলেন, পরে পরিমল দাসের কাছে অনুমতির জন্য গেলে তার ছেলে ম’রদেহ নিয়ে যেতে নিষেধ করেন। এরপর বা’ধ্য হয়ে পুকুরের পানি মাড়িয়ে ম’রদেহ শ্মশানে নিয়ে গেছি।

অ’ভিযুক্ত হারাধন দাস বলেন, আমাদের হিন্দু সম্প্রদা’য়ের নিয়ম অনুযায়ী কার্তিক মাসে শুধু সবজি খেতে হয়। এসময়ে আমাদের বাড়ির ও’পর দিয়ে যদি কেউ ম’রদেহ নিয়ে যান, তাহলে আমাদের হাঁড়ি-পাতিলসহ সবকিছু ফে’লে দিয়ে আবার নতুন করে কিনতে হবে। তাই আমি ম’রদেহ নিয়ে যেতে নিষেধ করেছি।

তবে হারাধন দাসের বাড়ির মুরুব্বি বীর মুক্তিযো’দ্ধা গৌর দাস মাস্টার বলেন, ম’রদেহ নিয়ে যাওয়ার বি’ষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। জানালে এ ঝামেলা হতো না। গত তিন চার মাস আগেও তাদের বাড়ির একজন মা’রা যাওয়ায় ম’রদেহ নেয়ার অনুমতি দিয়েছি।

তালশহর (পশ্চিম) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সামা বলেন, আমাকে বি’ষয়টি জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর দুই পরিবারকে নিয়ে বসে ঘটনাটি মীমাংসা করা হবে। এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, বি’ষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে এ বি’ষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে