থেরাপি ব্যবসার আড়ালে বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ, ‘তাঁতী লীগ’ নেত্রী আটক

| আপডেট :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ ভোলার লালমোহনে আবাসিক বাসায় তরুণী রেখে থেরাপি ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে মোছা. শাহিনুর বেগম নামে ‘তাঁতী লীগ’ নেত্রী আটক।

লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামের ওই নেত্রী দীর্ঘদিন থেরাপি ব্যবসার আড়ালে নিজের বাড়িতে এমন অসামাজিক অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

তার বাসায় পাওয়া ভিজিটিং কার্ডে শাহিনুরের পরিচয় ভোলা জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগ পেয়ে লালমোহন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম থানা পুলিশসহ ওই বাসায় অভিযান চালান। এ সময় বাসায় এক তরুণীকে পাওয়া যায়। এছাড়া ঘরের আশপাশে ব্যবহৃত ক’নডম পাওয়া যায়। লালমোহনের ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চৌকিদার বাড়ির পাশে নবনির্মিত একটি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকাণ্ড চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

একাধিক প্রতিবেশী জানান, শাহিনুরের স্বামী শাহে আলম ঢাকায় ভ্যানগাড়ি চালান। তা সত্ত্বেও বাড়িতে শাহিনুর একতলা ছাদ দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। বাসায় নতুন ফ্রিজ, সোফাসহ দামি আসবাবপত্রও রয়েছে। ওই ভবনে থেরাপি ব্যবসার আড়ালে তার মূল কর্মকাণ্ড বিভিন্ন অপরিচিত মেয়েদের এনে অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। তার বাড়িতে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল নিয়ে অপরিচিত লোকদের আনাগোনা চোখে পড়ে আশপাশের লোকজনের।

আরো জানা যায়, এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন শাহিনুরকে কিছু বললে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহিনুরের আপন ভাসুর ওই ওয়ার্ডের ইউপি চৌকিদার। তিনি শাহিনুরের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে জেল পর্যন্ত খাটিয়েছে। এছাড়া এলাকার আরও কয়েকজন প্রতিবাদ করলে তাদেরও হয়রানি করে। যে কারণে শাহিনুরের কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয়।

শাহিনুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মিছিলও করেন। তবে শাহিনুর ও মিতুকে আটক করে থানায় নিয়ে এলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সু-নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়া যায়নি।

এ বিষ্প্যে লালমোহন থানার (ওসি) মাকসুদুর রহমান বলেন, এখনও শাহিনুর ও মিতু থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।