২০ দিনের ব্যবধানে ৩ প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে ২ প্রেমিককে বিয়ে

| আপডেট :  ১৩ মে ২০২১, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ মে ২০২১, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

মায়ের স্বাপ্ন ছিল মেয়ে ফাতেমাকে বিদেশে পাঠাবে। এমন কি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরছ করে মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল দারুণ প্রেম। বখাটেদের প্রেমে ফাতেমার অবুঝ জীবন আজ নি:স্ব।

ইতি মধ্যে ফাতেমা ২০ দিনের ব্যবধানে ৩ প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে ২ প্রেমিককে বিয়েও করেছে। ফতেমা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামের শানুর আলীর মেয়ে। ফাতেমার প্রকৃত বয়স (১৭)।

তবে, তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কৌশলে তার বয়স অন্তত ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে। সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানাগেছে, দিনমজুর শানুর আলী টেংরা গ্রামের বাসিন্ধা।

তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী প্রবাসে থাকায় তার মেয়ে ফাতেমার দিকে নজর পড়ে টেংরা গ্রামের বখাটে মৃত আব্দুল করিমের পুত্র আব্দুল্লার। ফাতেমার সাথে প্রেমের কথা জানায় তার তিন বন্ধুকে। এক পর্যায়ে তিন বন্ধুই ফাতেমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

গত ৫ রমজান ফাতেমা নিজ বাড়ি থেকে তার দ্বিতীয় প্রেমিক দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের জমসিদ আলীর পুত্র রাজেল আহমদের সাথে পালি যায়। রাজেল জানায়, সে ফাতেমাকে কোর্ট মেরিজের মাধ্যমে বিয়ে করে এবং ১৮ দিন তার সাথে সংসারও করে। ১৮ দিন পর অর্থাৎ (২৫ রমজান) হঠাৎ করে ফাতেমা রাজেলের ঘর থেকে নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজের ঘটনায় রাজেল দক্ষিন সুমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। নিখোঁজের দু’দিন পর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাইল ফাঁসিরগাছ নামক স্থান থেকে একই উপজেলার নাজর গাঁও গ্রামের অটোরিক্সা ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ফাতেমাকে উদ্ধার করে রাজেল ও তার সঙ্গীরা।

পরে ফাতেমাকে নিয়ে ফুলদি ও টেংরা গ্রামের ইউপি সদস্যাসহ স্থানীয় ভাবে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ফাতেমা তার প্রথম প্রেমিক আব্দুল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে জানায়।

পরে ফাতেমার কথা মত স্থানীরা টেংরা গ্রামের মুরব্বি তাহির আলী, আলী হোসেন ও আব্দুল্লার মা সহ তাদের জিম্মায় ফাতেমাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। ফাতেমার এমন কান্ডে এলাকায় দারুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লার সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ফাতেমার ‘মা’ ফাতেমাকে তার সন্তান হিসেবে আর গ্রহন করতে রাজি নয়। কারন ফাতেমাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তিনি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। কিন্তু ফাতেমাকে যারা ফুসলিয়ে একের পর এক নাটক করেছে, তারাই ফাতেমার দায়ভার বহন করতে হবে।