খাটে শাশুড়ি-মেঝেতে পুত্রবধূ, একজন মৃ’ত-অন্যজন আ’সামি!

| আপডেট :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১২:০২ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পারিবারিক ক’লহের জের ধরে তাহমিনা আক্তার নামে এক গৃ’হবধূর বি’রুদ্ধে শাশুড়ি রহিমা বেগমকে (৬০) শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করার অ’ভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রহিমার স্বামী আবু তাহের বা’দী হয়ে মা’মলা দা’য়ের করেছেন। মা’মলায় অ’ভিযুক্ত তাহমিনাকে গ্রে’প্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে রামগঞ্জ উপজে’লার ইছাপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নতুন মসজিদ বাড়িতে এ হ’’ত্যার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে রহিমার লা’শ উ’দ্ধার করে ম’য়নাত’দন্তের জন্য সদর হাসপাতালের ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অ’ভিযুক্ত তাহমিনাকে অ’সুস্থ অবস্থায় উ’দ্ধার করে উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রে’প্তার তাহমিনা উপজে’লার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধেরখীল গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে। খবর পেয়ে ভোরে সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) স্পিনা রানী প্রামানিক ও রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্ম’দ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পুত্রবধূ তাহমিনা ও শাশুড়ি রহিমা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ক’লহ চলে আসছে। এতে তারা একই ঘরে থাকলেও আলাদা রান্না করতেন। আলাদা খেতেন। এসব নিয়ে তাদের ঝ’গড়া লেগেই থাকতো। প্রবাসী ছেলে হুমায়ুন কবির (তাহমিনার স্বামী) বাবা-মায়ের জন্য টাকা পাঠাতেন না। এতে জীবীকার তাগিদে বা’ধ্য হয়ে বৃ’দ্ধ বয়সে আবু তাহের ঢাকার একটি বেকারিতে চাকরি নেন।

বুধবার রাত ১০টার বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝ’গড়া হয়। প্রতিদিনকার মতো ক’লহভেবে কেউই ঘটনাটি পাত্তা দেয়নি। হঠাৎ ভোররাতে নিস্তব্দতা ও বসতঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকজনের কাছে বি’ষয়টি স’ন্দেহজনক মনে হয়। এতে ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর তাকালে দেখা যায় রহিমা বেগম খাটে ও তাহমিনা মেঝেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে রহিমা বেগমের লা’শ ও অ’চেতন অবস্থায় তাহমিনাকে উ’দ্ধার করে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, হ’’ত্যার ঘটনায় মা’মলা নি’হতের স্বামী বা’দী হয়ে মা’মলা দা’য়ের করেছেন। মা’মলায় অ’ভিযুক্তকে গ্রে’প্তার দেখিয়ে আ’দালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রহিমাকে শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যা করা হয়েছে। তবে ম’য়নাত’দন্তের প্রতিবেদন পেলে মূল ঘটনা বলা যাবে। সুত্রঃ কালের কণ্ঠ