সেই রিকশাচালককে এক লাখ টাকা দিলেন ব্যারিস্টার আহসান

| আপডেট :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ক’রো’না ঠে’কাতে চলমান বি’ধিনি’ষেধের মধ্যে শারীরিক প্রতিব’ন্ধী একজনের রিকশা আ’ট’কে দেওয়া হয়। এরপর তার দেওয়া এক বক্ত’ব্যের ভি’ডি’ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা’ই’রা’ল হয়ে যায়। এবার শারীরিক প্রতিব’ন্ধী সেই রিকশাচালককে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভি’ডি’ওতে রিকশা চালকের কা’ন্না দেখার পর থেকে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। অবশেষে আজ তাকে রাজধানীর অদূরে ফরিদাবাদের এক গ্যারেজে খুঁজে পাই। ব্যারিস্টার আহসান বলেন, ওই রিকশাচালকের নাম রফিক। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। বাড়িতে তার স্ত্রী’ ও সন্তান রয়েছে।

তিনি শারীরিক প্র’তিব’ন্ধী। তাকে স্বাব’লম্বী করার জন্য আমা’র পরিবর্তন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫০ হাজার টাকা আজকে তার হাতে তুলে দিয়েছি। বাকী’ ৫০ হাজার টাকা অচিরেই তাকে দেব। যেন তিনি গ্রামে গিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। টাকা পেয়ে রিকশাচালক রফিক খুবই খুশি হয়েছেন।

এদিকে ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিকশাচালক রফিকের হাসিমাখা একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেন, আলহাম’দুল্লিাহ। #PoribortonKori এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছবিতে সাড়ে ১১ হাজার লাইক-রিয়েকশন, প্রায় এক হাজার কমেন্ট ও ১৩শর বেশি শে’য়ার হয়েছে।

ব্যারিস্টার আহসানের সহযোগিতার জন্য মানুষ তাকে অ’ভিনন্দন জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া গত বছর দেশে ক’রো’না ম’হামা’রির শুরু থেকেই থেকেই গরীব-অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ওই ভিডিওতে রিকশাচালক রফিককে কা’ন্নারত অবস্থায় বলতে শোনা যায়, আম’রা প্রতিব’ন্ধী কাজ করে খেতে চাই। সেটাও করতে পারি না। বি’ধিনি’ষে’ধের মধ্যে তিনি তার ব্যাটারি চালিত রিকশায় যাত্রী নিয়ে কাকরাইল যাচ্ছিলেন। পথে ট্রা’ফিক পু’লিশ তার রিকশা আট’কে দেয়। তাকে ১২শত টাকা দিতে বলা হয়। নইলে রি’ক্সা ডাম্পিংয়ে দেওয়া হবে।

তিনি কা’ন্নার’ত অবস্থায় বলেন, আমি শারীরিক প্রতিব’ন্ধী। আমা’র ব্যাটারি চালিত রিকশা চালানোর অনুম’তি আছে। অথচ আমা’র কাছ থেকে টাকা দা’বি করা হচ্ছে। আমি চারদিন ধরে কাজে বের হতে পারি না। আমা’র কাছে আছে ১৫০ টাকা। আমি কী’ভাবে ১২০০ টাকা দিয়ে রিকশা ছাড়িয়ে আনব। এরপর ভি’ডি’ওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামগুলোতে ভা’ই’রা’ল হয়।