সমঝোতা নয়, যুদ্ধাপরাধের মত বিচার হবে হেফাজতের

| আপডেট :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চালানো হেফাজতে ইসলামের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সংগঠনটির একের পর এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর এর ফলপ সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হেফাজতে ইসলাম।

দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে সমঝোতার উদ্দেশ্যে গত সোমবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে বৈঠক করেছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। তারা সেখানে সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে।

তবে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হেফাজতের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না সরকার। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার অভিযান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে সরকার ও আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানেই রয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তাদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে। এটা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, বৈধ সরকার ক্ষমতায়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন, ভাঙচুর ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো সহ্য করা হবে না। তালেবানি কায়দা, পাকিস্তানি কায়দা এ দেশে চলবে না। যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে বিচার হয়েছে, তাদেরও সেভাবে বিচার হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি থেকে সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে সংগঠনটির এক ডজনেরও বেশি শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরাও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।