ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগে পুলিশের ২ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

| আপডেট :  ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১০ অপরাহ্ণ

মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ফেনসিডিল উদ্ধার করে পরবর্তীতে সেই ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার মোকামতলায়।

প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহিন উজ্জামান ও ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌল। তাদের বিরুদ্ধে ২৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সেখান থেকে ৮৮ বোতল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।

জেলা পুলিশ সুপারের আদেশে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
বগুড়া পুলিশ সুপার অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকেও জনস্বার্থে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা জানান, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।

যানবাহন তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামের বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেওয়া হয়। আর বাকি ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন এবং ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যসহ মামলার সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।