চাঁদা না পেয়ে জেলেদের মাছ কেড়ে নিলেন ছাত্রলীগ নেতা

| আপডেট :  ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৬:২১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৬:২১ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে জেলেদের মাছ কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের তিস্তা নদীতে সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে।

ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে রহমত আলী বাদী হয়ে জিয়াকে প্রধান আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান (৩৩) উপজেলার দোয়ানী পিত্তিফাটা এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের দোয়ানী ইউনিটের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি।

লিখিত অভিযোগ সূত্র থেকে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ২২ জন জেলে নিয়ে গঠিত দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। এই সমিতির সভাপতি জেলে রহমত আলীর নেতৃত্বে ব্যারাজের পেছনের তিস্তা নদী থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সমিতির সবাই। অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান প্রায় দুই বছর আগে থেকে চাঁদার জন্য জেলেদের নদী থেকে মাছ ধরতে বাধা দিয়ে আসছিল। তবে এরই মাঝে কয়েকবার চাঁদার টাকা না পেয়ে ঝামেলা করে ২ থেকে ৩ কেজি করে বৈরালী মাছ নিয়ে চলে যায় এবং মাছের দাম না দিয়ে আবার জেলেদের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পরে গত সোমবার জেলেরা তিস্তা ব্যারেজ এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের তিস্তা নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরলে জিয়াউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে মাছ ধরতে বাধা দেন। এ সময় ১০ হাজার টাকা না দিলে মাছ ধরতে পারবে না বলে তারা। এদিকে রহমত আলীসহ অন্যরা চাঁদা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে জিয়াউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে জেলেদের ধরা ৮০০ টাকা মূল্যের বৈরালী মাছ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রহমত বাধা দিলে জিয়াউর তাকে মারধর করেন। এর পরে গড্ডিমারী ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান ছুটে এসে রহমতকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে চলে যেতে বলেন। তবে জিয়া চলে না গিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার দোয়ানী ইউনিট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ওরা নিজেরাই চলতে পারে না। কোন রকম মাছ ধরে দিন পার করে। ওরা ১০ হাজার টাকা কই পাবে? আমি তাদের কাছে কোন চাঁদা দাবি করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।