একদিনও থাকা হলো না স্বপ্নের বাড়িতে

| আপডেট :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

‘অনেক শখ ছিল নতুন ঘরে উঠবে। কিন্তু করোনায় যে কোনো মুহূর্তে ফ্লাইট বন্ধ করে দিতে পারে সেই ভয়ে তাড়াহুড়া করে দেশে থেকে কর্মস্থলে ফিরে যায়। বিধিবাম, সেই স্বপ্নের ঘরটাতে আর ফেরা হবে না তার।’হৃদয়বিদারক কথাগুলো বলছিলেন ওমানপ্রবাসী মৃতের চাচা শেখ আহমদ।

দেশ থেকে নিজ কর্মস্থল ওমানে ফিরে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় করোনায় প্রা`ণ হারালো বাংলাদেশি এক প্রবাসী যুবক। নাম মো. এরশাদ। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ডের নুরুচ্ছাপার ছেলে।শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশটির আল খুদ বদর আল সামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মা`রা যান। বিষয়টি নি`শ্চিত করেছেন ওমানে থাকা তার চাচা শেখ আহমদ।

কিন্তু ততক্ষণে ক`রোনা তার ফু`সফুস অনেকটা শেষ করে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার শ্বা`সকষ্ট বেড়ে গেলে অনেকটা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এক বন্ধু কাছেই একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির তিন ঘণ্টা পর সে মা`রা যান তিনি।এরশাদ মাস্কাট সিটির আল হীল নামক স্থানে বসবাস করতেন। তিনি বিল্ডিং মেন্টেনাইজের কাজ করতেন।

এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক এরশাদ দেশে গিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। স্বপ্নের বাড়িটাও অনেকটা সম্পন্ন করেছিলেন।তার চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন, অনেক শখ ছিল নতুন ঘরে ওঠবে। কিন্তু ক`রোনায় যেকোন মুহূর্তে ফ্লাইট বন্ধ করে দিতে পারে সেই ভয়ে তাড়াহুড়া করে দেশে থেকে কর্মস্থলে ফিরে যায়। বিধিবাম, সেই স্বপ্নের ঘরটাতে আর ফেরা হবে না তার।

লা`শের সর্বশেষ পরীক্ষায় ক`রোনা পজিটিভ আসে বলে জানান তার চাচা। নিয়ম অনুযায়ী আরব রাষ্ট্রগুলোতে করোনায় মারা যাওয়া লা`শ স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয় না। বর্তমানে তার `লা`শটি আল নাদাহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে ওমানেই লা`শ দা`ফন করা হবে। নিজ জন্মভূমিতে লা`শটিও যাবে না। বাবাহারা এতিম সন্তানগুলো বাবাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগও মিলবে না।