মামুনুলের চুক্তিভিত্তিক বিয়ে ইসলামে ভিত্তিহীন

| আপডেট :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে স্থানীয়দের দ্বারা এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। ওইসময় তিনি দাবি করেছিলেন সাথে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু পরবর্তীতে তার বিয়ে নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।

মামুনুল হক জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের ওই নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করলেও বিয়ের কোনো প্রমাণ বা কাবিননামা দেখাতে পারেন নি। এছাড়া মামুনুল হকের সাথে তার প্রথম স্ত্রীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনের পরও জানা যায় তিনি ওই নারীকে বিয়ে করেননি। এর কিছুদিন পরই জানা যায় মামুনুল হক এভাবে বিয়ে করছেন আরও এক নারীকে। কিছুদিন যাবত ওই নারীর সন্ধান না পাওয়ায় ওই নারীর ভাই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জিডি করেন।

আর এসব ঘটনার পর গত ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন বাকি দুই স্ত্রীকে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ মাোনবিক বিয়ের গল্প বললেও পরের দুই নারীকে বিয়েই করেননি মামুনুল হক। শুধু স্ত্রীর মতো আচরণ করার জন্য চুক্তি করেছিলেন তিনি। এরজন্য দেওয়া হত ভরণপোষণ।

মামুনুল তার এমন বিয়েকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ বললেও ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, এ ধরনের বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই ইসলামে। ইসলামী শরিয়ত এবং দেশীয় আইন উভয় ক্ষেত্রেই এমন চুক্তি অবৈধ। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, ইসলামী শরিয়তেও মুতা বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কারো কারো মতে নির্দিষ্ট সময় এবং দেনমোহর পরিশোধ করে মুতা বিয়ে করা যায়। কিন্তু মামুনুলের এমন চুক্তি এ বিয়ের শর্তপূরণ করে না।

এদিকে, নাশকতার মামলায় মামুনুল এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন-পরের দুই নারীকে বিয়ে না করার কথা। মামুনুল হক গোয়েন্দাদের আরও জানান, স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও ভরণপোষণ দেয়া হত তাদের। এর বিনিময়ে চুক্তি ছিল তাদের সঙ্গে স্ত্রীর মতো আচরণ করবেন তিনি। লিখিত এমন চুক্তির কপি গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে।