ডাক্তার-পুলিশ দ্বন্দ: নেপথ্যে কে?

| আপডেট :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গত রোববার (১৮ এপ্রিল) একজন চিকিৎসকের সাথে পুলিশ এবং ম্যজিস্ট্রেটের বা’কবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ভিডিওটিতে যে ম্যজিস্ট্রেটকে দেখতে পাওয়া যায় তার নাম মামুন। বিভিন্ন মহল অভিযোগ করছেন যে, ম্যাজিস্ট্রেট মামুন একসময় ছাত্রদল করতেন এবং তিনি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এর শ্যালক ছিলেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা দরকার।

কারণ এই ঘটনায় বাংলাদেশে করোনার সং’ক্রমণের পর থেকে যে দুটি পেশার মানুষ মানবসেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক এবং পুলিশের ভূমিকাও ছিল অনন্য সাধারণ। আর এই দুই পেশার মানুষদের মুখোমুখি দাঁড় করার পেছনে কারা ভূমিকা রাখছে সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। এখন পুরো ঘটনাটা চিকিৎসক বনাম পুলিশ হয়েছে গেছে। অথচ ভিডিও ফুটেজটি ভালোভাবে নিরীক্ষা করলে দেখা যায় যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় চিকিৎসককে উ’ত্যক্ত করেছেন।

ওই চিকিৎসক তার একাধিক পরিচয় দেয়ার পরও তাকে হ’য়রানি করা হয়েছে বলে তার পরিবার দা’বি করেছে। ওই নারী চি’কিৎসককে কেন পাপিয়ার সাথে তুলনা করা হলো, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভন্ন মহলে। এখন চি’কিৎসক এবং পুলিশকে মু’খোমুখি দাঁড় করিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মধ্যে থেকে উ’ধাও হয়ে গেছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই না’রী চি’কিৎসক আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির একজন সদস্য। চি’কিৎসকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ৫ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান।

ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের পরিচয় সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে দা’বি করা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়, সে রাজাকারের সন্তান। তার বাড়ি খুলনা মহানগরীর পূর্ব বানিয়া খামার। তার পিতার নাম আসাদুজ্জামান ওরফে রাজ্জাক রাজাকার। এলাকার সবাই তার পিতাকে রাজ্জাক রাজাকার নামেই চেনে। রাজ্জাক রাজাকার বানোয়াট কাগজপত্র বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাস্টমসে চাকরি নেন।

কাস্টমসে চাকরিতে দু’র্নীতি করে সেই টাকায় ঢাকায় ৪/৫ টি ফ্লাট কেনেন এবং খুলনা ৫/৭ টি বাড়ি মালিক হন। রাজ্জাক রাজাকার চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে তার আরেক পুত্র হারুনকে কাস্টমসে চাকরি দেন এবং সে এখনো সেখানে চাকরিরত। হারুন ছিলেন খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের এক সময়ের শিবির ক্যাডার। সেও এলাকায় শিবির হারুন নামে পরিচিত। মামুন ঢাকায় পড়াকালীন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ভ’য়ং’কর ক্যাডার ছিলেন।

একসময়ের ছাত্রদল সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের কথিত শালা বলে পরিচয় দিতেন মামুন। পরবর্তীতে মামুন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং মন্ত্রী যখন খুলনায় সফরে যেতেন তার সাথে সে ও যেতেন। সেই সুবাদে মামুন এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।

প্রশাসনের ভেতরে শি’বির-ছা’ত্রদলের ক্যাডাররা এ রকমই প’রিস্থিতি তৈরি করে ডাক্তার সহ অন্যান্য পেশার জনগণকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ বানানোর অ’পচেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন মহল অ’ভিযোগ করেছে। মামুনের পিতা কোন ভাবেই মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং সে মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকার ছিলেন এবং তার পরিবারের সবাই জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে দা’বি করেছে বিভিন্ন মহল।

যদিও এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে এই অভিযোগগুলো খুব শীঘ্রই খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সুত্রঃ বাংলা ইনসাইডার