রিকশা থেকে নামিয়ে যু’বককে পি”টিয়ে হা’তক’ড়া, পুলিশ সদস্য ক্লোজড

| আপডেট :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০০ পূর্বাহ্ণ

ফেনীতে লকডাউনে সড়কের মধ্যে রিকশা থেকে নামিয়ে যু’বককে পি’ টিয়ে হা’তক’ড়া প’রিয়ে আ’টকের ঘটনায় এস’আইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে শোকজ করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। সোমবার রাতে ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে শোকজ করে মঙ্গলবার তাদের ঘটনার কারণ দর্শাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী।

লকডাউনের ৫ম দিন রোববার বিকেলে ফেনী শহরের মডেল হাই স্কুলের সামনে পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যদের সঙ্গে এক ‘মানসিক ভা’রসাম্যহীন’ যু’বকের হা’তাহা’তির ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য এক রিকশা আরোহী যু’বকে জামার কলার ধরে পা’কড়াও করেন।

যুবকটিও তাকে পাল্টা আ’ঘা’ত করেন। পুলিশের সঙ্গে মা’রামা’রিতে লি’প্ত হওয়া ওই যু’বকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। শহিদুল ইসলাম যুবলীগের সক্রিয় কর্মী বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ‘লোকটি মা’নসিক ভা’রসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের উ’পর ক্ষে’পে যায় এবং মা’রতে আসে। তখন পুলিশ আ’ত্মর’ক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গা’য়ে হা’ত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।’

পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশমন্ত মজুমদারসহ ঘটনার সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ঘটনার কারণ দর্শাতে মঙ্গলবার তাদের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, আটক যুবক শহিদুলের মা’নসিক স’মস্যা রয়েছে। হাতাহাতির এই ঘটনার জন্য তিনি সেই যুবককে দা’য়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘থানায় নেয়ার পর জানা গেছে ওই যুবক কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চায়। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চি’ৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলেন। একপর্যায়ে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা তার মা’নসিক স’মস্যার কথা জানায়। পরে মু’চলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’