পুলিশের নজরদারিতে হেফাজতের ৩৫ শীর্ষ নেতা

| আপডেট :  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:২৮ অপরাহ্ণ

স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে গত ২৬-২৮ মার্চ সমগ্র দেশেই প্রতিবাদ সমাবেশসহ, সংঘর্ষ এবং ভাংচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা। আর এর জেরে গত এক সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে সংগঠনটির ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে। সর্বশেষ গত রোববার (১৮ এপ্রিল) গ্রেফতার করা হয়েছে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃত নেতারা ছাড়াও দলটির ২৫ শীর্ষ নেতাসহ হেফাজতের ৩৫ জন বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে আছেন বলে জানা গেছে। নজরদারিতে থাকা এসকল নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ২০১৩ সালে সহিংসতার ঘটনায় কোনো না কোনো মামলার আসামি। এ ছাড়া গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার মামলায়ও অনেকে আসামি হয়েছেন। সে সময় সারাদেশে ৭৭টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার এবং আটক হয়েছেন মোট ৪৫০ জন।

পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতের যেসব নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে যারা এখনো সক্রিয় রয়েছেন, এমন ৩০ জনের একটি তালিকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। তবে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ তালিকায় থাকা ৩০ জনের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি ২৫ জন সম্ভাব্য গ্রেফতারের তালিকায় আছেন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। দলটির আরও ৩৫ নেতা তাদের ‘ওয়াচ লিস্ট’–এ রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সবাই গ্রেফতার হবেন।

প্রসঙ্গত, রোববার গ্রেফতার হওয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার করে রোববার ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর আজ (সোমবার) তাকে আদালতে নেয়া হয়। সেখানে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে। তাকে গ্রেফতারের পর রোববার আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পল্টন থানায় ২০১৩ সালের একটি মামলায় তার রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এছাড়া সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীর রিমান্ড রোববারই শেষ হয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।