যে শর্তে দুই স্ত্রীকে ‘কন্টাক্ট ম্যারেজ’ করেন মামুনুল

| আপডেট :  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:০১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের অন্যতম আলোচিত নাম হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হক। আর গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ এবং নেয়া হয়েছে সাত দিনের রি’মান্ডে।

পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, জি’জ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের পাশাপাশি তিনি তিনটি বিয়ের কথাও স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে মামুনুল হক দাবি করেছেন, প্রথম স্ত্রী বাদে বাকি দুই স্ত্রীকে তিনি ‘কন্টাক্ট ম্যারেজ’ করেছিলেন।

মামুনুল হক জানান, প্রথম স্ত্রীকে তিনি ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন মেনে বিয়ে করেন। আর বাকি দুই স্ত্রীকে পূর্ণ স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবেন না এমন মৌখিক এই শর্তেই বিয়ে করেন এবং তার দেওয়া শর্ত মেনেই দুই নারী তার সঙ্গে শরীয়তের বিধান মতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

মামুনুল হক এসনয় আরও জানান, তার প্রথম স্ত্রী বাকি দুই স্ত্রীর বি’ষয়ে কিছুই জানতেন না। ধরা পড়ার পর কেনো স্ত্রীকে মি’থ্যা বলেছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুনুক হক পুলিশকে জানান, প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে হার্ট অ্যাটাক করতে পারেন কিংবা অ’সুস্থ হয়ে পড়ডে পারেন তাই তিনি মি’থ্যা বলপছিলেন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, দুই নারীকে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করার কথা বললেও মামুনুল হক এই সংক্রান্ত কোনো কাগজ বা বিয়ের কাবিননামা দেখাতে পারেন নি। তবে তিনি জানিয়েছেন এই দুই স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতেন তিনি। এদের মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে তিনি নিয়মিত ভরণপোষণ দেয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মূলধনও দিয়েছিলেন এবং কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন।

মামুনুলকে জি’জ্ঞাসাবাদ বি’ষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা তাকে মা’মলা, জি’ডিসহ সহিং’সতার বি’ষয়ে জি’জ্ঞাসাবাদ করেছি। তাকে তিন তিনটি বিয়ে করা নিয়েও জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিয়ে দাবি করলেও প্রথমটি বাদে বাকি দুই বিয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, মামুনুল হকে ১৮ এপ্রিল গ্রে’ফতারের পর প্রথমে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের কার্যালয় এবং পরে তেজগাঁও থানায় নিয়ে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে রাতে তাকে গো’য়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সোমবার দুপুরে তার বি’রুদ্ধে রাজধানী মোহাম্ম’দপুর থানায় দা’য়ের করা মা’মলায় ৭ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।