যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন মামুনুল হক

| আপডেট :  ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

রাজনীতি: বেশ কদিন ধরে তৎপরতা চালাচ্ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবশেষে রবিবার দুপুরে হেফাজতের এই নেতাকে গ্রে’প্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে সাম্প্রতিক স’হিং’সতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মা’মলা হয়েছে মামুনুল হকের বি’রুদ্ধে। এ ছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তা’ণ্ডবের ঘটনাতেও তার বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা আছে।

জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে না’রীসঙ্গীসহ স্থানীয় লো’কজনের হাতে আ’টক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকার মোহাম্ম’দপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় যান। সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

মাদরাসায় নজর রাখছিল আইন-শৃ’ঙ্খলা র’ক্ষাকারী বাহিনী। কেননা এই মাদরাসার একটি কক্ষে বসেই ফেসবুকে লাইভ করছিলেন হেফাজতের এই নেতা। তবে সর্বশেষ লাইভে এসে দ্বিতীয় বিয়ের দাবির স্বপক্ষে স্ত্রীর কাছে সত্য গো’পন করার অবকাশ রয়েছে এমন বক্তব্য দিয়ে নিজ দলের আলেম-ওলামাদের কাছে সমালোচনার শি’কার হন তিনি। পরে চা’পের মুখে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিটও করে দেন।

মাদরাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃ’ঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রে’প্তার করতে পারে- এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। তক্কে তক্কে থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামুনুলের অবস্থান নিশ্চিতের পর রবিবার তাকে ওই মোহাম্ম’দপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকেই গ্রে’প্তার করতে সমর্থ হয়।

দুপুর ১২টার দিকে তাকে গ্রে’প্তার করা হয়। গ্রে’প্তারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রে’প্তারের বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ।