গুলিবিদ্ধ শ্রমিকেরা, পুলিশের শরীরে ইট-পাটকেলের আঘাত

| আপডেট :  ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘট ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন আহত পুলিশ ও শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, তারা বেতন ভাতাসহ ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছিলেন এসময় পুলিশ গুলি করে। অপরদিকে পুলিশের দাবি শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে গুলি করে পুলিশ।

জানা গেছে, নির্মীয়মাণ এসএস ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কিছু শ্রমিক কয়েক দিন ধরে খাবার সময়সূচি, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধসহ কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন। আর আজ এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আজকের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে যাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। এছাড়া, তিন পুলিশ শ্রমিকদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে তিন পুলিশসহ ১৯ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আনোয়ারুল হক আজ বলেন, তাদের ওয়ার্ডে ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। সবাই গুলি বা স্প্লিন্টারে বিদ্ধ। তবে তা শর্টগান না কিসের গুলি, এখনই বলা সম্ভব নয়।’

এছাড়া, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, ‘আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।’ নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আর চমেক হাসপাতালে আনার পর মো. রায়হান (১৮) নামের এক শ্রমিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, আজ শনিবার সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।