রমজান মাসে জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

| আপডেট :  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে পবিত্র রমযান মাসে। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা সিয়াম সাধনা এবং এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের চেষ্টা করবেন। আর আজকের আয়োজনে থাকছে রমজান মাসে জুমার দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা।

পবিত্র আল-কোরআনে জুমা নামে একটি সূরা রয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা এই দিনে বিশ্ব সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন। এছাড়া, ইসলামের দৃষ্টিতে এই জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার মতোই তাউ দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়েছে। এছাড়া, পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনটিতে দেখা যায় বড় বড় ও মহৎ ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।

অপরদিকে, পবিত্র রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। রমজানে ইবাদত সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম–২৭০৭)। এসব কারণে রমজানে জুমার দিনের গুরুত্বও অনেক বলেন বেশি।

মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে সূরা জুমার ৯ নং আয়াতে বলেছেন যে, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে।

এছাড়া নবী (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

এছাড়া, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার প্রসঙ্গে নবী (সা.) আরও এরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)। তাই জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রতিটি মুসলিমের উচিত দিনটিকে কাজে লাগানো।