হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এল মামুনুলকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য

| আপডেট :  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমণকে কেন্দ্র করে দপশজুড়ে তা’ন্ডব চা’লিয়েছিলো হে’ফাজতে ই’সলাম। এর জেরে সম্প্রতি আ’টক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন হে’ফাজত নেতাকে। আর তাদের জি’জ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনকি জানা গেছে হে’ফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মামুনুল হকের নৈতিক স্খলন সম্পর্কেও।

পুলিশের একটি নি’র্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা মামুনুল হকের নৈ’তিক স্খলনের বি’ষয়টি স্বী’কার করে হ’তাশা ব্যক্ত করেছেন। এমকি হেফাজতের একটি অংশ তাকে ব’হিষ্কারের প্রস্তাবও করেছিল। তবে সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সেই প্রস্তাব না’কচ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, হেফাজতের সাম্প্রতিক তা’ণ্ডবে জা’মায়াত-শি’বিরসহ জ’ঙ্গিদের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।

এর আগে রোববার (১১ এপ্রিল) হে’ফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবা’দীকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত হেফাজতের সহকারী মহাস’চিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মঞ্জরুল ইসলাম আফেন্দি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফ উল্লাহকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত রোববার হাটহাজারী মাদ্রাসায় মামুনুল হককে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। বৈঠকে আজিজুল হক ইসলামাবা’দী সংগঠন থেকে মামুনুল হককে ব’হিষ্কারের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রস্তাবটি না’কচ করে দেন সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এই মুহূর্তে ব’হিষ্কার করা হলে মামুনুল হক গ্রে’ফতার হতে পারেন একারণে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়। এমনকি মামুনুলের গ্রে’ফতার এড়াতে মাদ্রাসা খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড ত’দন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে হেফাজত ইসলাম। কমিটিতে সদস্য হিসেবপ রাখা হয়েছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, সহকারী মহাস’চিব শাখাওয়াত হোসাইন রাজী এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ড. মাওলানা নুরুল আফসার আজহারীকে।