আলেম-ওলামাদের উপর মি’থ্যাচার-নি’র্যাতন বন্ধ না হলে কেউই আল্লাহর পা’কড়াও থেকে রে’হাই পাবে না: হেফাজত

| আপডেট :  ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩৭ অপরাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রে’প্তার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের হ’য়রানির প্র’তিবাদ জানিয়েছেন সমমনা ওলামা-মাশায়েখরা। তারা এক বিবৃতিতে গ্রে’প্তার হেফাজত নেতাদের রি’মান্ডে নিয়ে নি’র্যাতনের তীব্র নি’ন্দা ও আলেম’দের হ’য়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক টেলিকনফারেন্সে ওলামা-মাশায়েখরা এসব কথা বলেন। পরে এক বিবৃতিতে তারা দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উ’দ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ওলামা-মাশায়েখরা বলেন, বিগত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ পরিস্থিতির পরবর্তী অবস্থা দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট। দেশের আলেম-ওলামাদের বি’রুদ্ধে যেভাবে মি’থ্যাচার ও তাদের মানহানি করা হচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে আলেম-ওলামা’রা ভিনদেশি নাগরিক। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেউই আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না।

নিরীহ মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের ও’পর অন্যায়ভাবে গু’লি চালিয়ে শহীদ করে দেওয়া এবং শত শত নিরাপরাধ মানুষকে জীবনের তরে প’ঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে, আবার তাদের বি’রুদ্ধে মি’থ্যা মা’মলা করে গ্রে’প্তার ও হ’য়রা’নি করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয় আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে নতুন করে মি’থ্যা হ’’ত্যা মা’মলায় জড়ানো হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবা’দী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মুফতি শরীফুল্লাহ ও মুফতি বশির উল্লাহসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চারজন, ভোলায় সাতজন, সিলেটে সাতজন, গাজীপুরে চারজন, নরসিংদীতে একজনকে ডি’বি অফিসে হ’য়রা’নি ও গ্রে’প্তার করে রি’মান্ডে নিয়ে নি’র্যাতন করা হচ্ছে।

আমরা এর তীব্র প্র’তিবাদ জানাচ্ছি, এহেন পরিস্থিতিতে ওলামা-মাশায়েখসহ দেশবাসী গভীরভাবে উ’দ্বি’গ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আল্লাহপাক কোনো জালেমকে ছেড়ে দেন না। আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পেতে হলে এই ধরনের অ’মানবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।

তারা বলেন, বর্তমান স’রকারদলীয় প্রশাসন ভিন্ন মতাবলম্বীদের জন্য দেশটাকে একটি কা’রাগারে পরিণত করেছে। সম্মানিত ব্যক্তিদের ইজ্জতের কোনো তোয়াক্কা নেই। দেশের সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। এভাবে একটি সভ্য জাতি মান-সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে পারে না।

সুতরাং আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, এ দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক, আদর্শ ও শান্তিপ্রিয় সমাজ বিনির্মাণের চালিকাশক্তি ওলামায়ে কেরাম’দের ও’পর জে’ল জু’লুম নি’র্যাতন বন্ধ করুন। মি’থ্যা মা’মলা প্রত্যাহার করুন। অন্যায়ভাবে গ্রে’প্তার ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। শত শত আ’হত রো’গীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন।

নি’হত পরিবারের যথাযথ ক্ষ’তিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। নতুবা এই পবিত্র মাহে রমজানে মজলুম’দের আহাজারিতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠবে। আর আল্লাহর গজব থেকে কেউই রেহাই পাবে না।