মামুনুলের দ্বিতীয় শ্বশুরকে আ.লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ

| আপডেট :  ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে স্থানীয়দের কর্তৃক জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়ার পর মামুনুল হক দাবি করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা যায়, জান্নাত আরা ঝর্না ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেজ মেয়ে। ওলিয়ার রহমান বর্তমানে ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কামারগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আর এই রিসোর্ট কান্ডের জেরে মামুনুল হকের দ্বিতীয় শ্বশুর ওয়ালিয়ার রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আলফাডাঙ্গার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোনায়েম খান ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে সোমবার (১২ এপ্রিল) এই নোটিশ দেয়া হয়।

নোটিশে ওয়ালিয়ার রহমানকে হেফাজতে ইসলামের সাথে তার পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আপনি মো. ওয়ালিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। আপনার বড় জামাতা মো. হাবিবুর রহমান, মেজ জামাতা অর্থাৎ জান্নাত আরা ঝর্ণার সাবেক স্বামী মো. জাফর শহিদুল ইসলাম, সর্বাধিক সমালোচিত আপনার মেজ মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার কথিত স্বামী মো. মামুনুল হকসহ সবাই উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে জড়িত। আপনার মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত। এমনকি আরো জানা যায় যে, আপনার স্ত্রীও জামায়াতপন্থী।

হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয় কখনো দলীয় নেতাদের জানাননি ওয়ালিয়ার রহমান। তাই তার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে ওয়ালিয়ার রহমানকে কেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার স্বপক্ষে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক।