সব
অপ্রাপ্তবয়স্ক হিন্দু কলেজছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করিয়ে বিয়ের অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলায়। অভিযুক্ত শিক্ষক নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ। তিনি নুরনগর হাজীপুর গ্রামের প্রয়াত হাসান আহম্মেদের ছেলে।
জানা গেছে, অভিযোগের পর এ ঘটনায় শনিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে মানববন্ধন করে শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার ও ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কাটুনিয়া রাজবাড়ী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর খোঁজ মিলছিলো না কয়েকদিন যাবৎ। পরবর্তীতে তার বাবা শ্যামনগর থানায় একটি জিডি করেন। এর মাঝেই শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শামীম আহমেদ ও তার সাবেক ছাত্রীর একটি ছবি লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। পরে খোঁজ নিয়ে উভয়ের পরিবার নিশ্চিত হয় তারা খুলনার একটি নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করিয়ে বিয়ে করেছেন ওই শিক্ষক।
ঘটনার শিকার ছাত্রীর বাবা জানান, দুই বছর আগেই তার মেয়ে নুরনগর আশালতা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছে। তার মেয়ের জন্ম ২০০৪ সালে। এখনও ১৮ বছর বয়স হয় নি। প্রাইভেট পড়তে নিয়মিত শামীম আহমেদের বাড়ির পাশে যাতায়াতের সুযোগে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে শিক্ষক ধর্মান্তর করিয়ে বিয়ে করেছেন। শামীম আহমেদরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এ মুহূর্তে তারা অসহায় বোধ করছেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, অভিযুক্ত শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তারসহ মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।