ঝর্ণাসহ দুই নারীকে খুঁজছে পুলিশ

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫০ পূর্বাহ্ণ

মনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সর্বত্রই বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে পুলিশের একটি তদন্ত দল তদন্ত কার্যও পরিচালনা করছে।

আর এই তদন্ত কার্য শুরুর কিছুদিন পর থেকেই মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। ইতোমধ্যে ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমানও তাঁর মাকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি মায়ের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছে আব্দুর রহমান।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত জান্নাত আরা ঝর্ণার কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আরেক নারীর সাথেও মামুনুলের যোগাযোগের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই নারীর বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মামুনুল-ঝর্নার বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে আরেক নারীর ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নারী একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তার সাথে মামুনুলের একাধিক ফোনালাপে অবৈধ সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বর্তমানে মামুনুলের সাথে তার সম্পর্ক যাচাই করা হচ্ছে। এসব ঘটনা ফৌজদারি আপরাধের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ত হলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, গত শুক্রবার মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচিতি পাওয়া ঝর্ণার ২০০ পৃষ্ঠার তিনটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান সেগুলোকে তাঁর মায়ের ডায়েরি বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে। ঝর্ণার সেই ডায়েরিতে লেখা, ‘আমাকে বিয়ে না করেই গ্রিন রোডের একটি বাসায় রাখেন মামুনুল হক। আমাকে খরচের টাকাও দিতেন। কিন্তু বিয়ে করে স্ত্রী বানাননি।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয় নাশকতার ঘটনায় দুই মামলায় মামুনুল এজাহারনামীয় আসামি। এ ছাড়া ঢাকায় গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীয় মসজিদে নাশকতার ঘটনায় পল্টন থানার দুই মামলার আসামি তিনি।