একটা একটা করে ধরে আনা হবে: হেফাজতকে কড়া হুঁশিয়ারি নওফেলের

| আপডেট :  ৭ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ এবং ভাংচুর চালিয়েছিলো হেফাজত ইসলামের কর্মীরা। এমনকি তাদের এই ভাঙচুর থেকে রেহাই পায়নি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। এছাড়া নিহত হন মোট ১৭ ব্যক্তি। আর এর জেরেই হেফাজতে ইসলামকে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ফেসবুক পেজে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে
শিক্ষা উপমন্ত্রী লিখেছেন, ‘খেলাফতে মজলিশ নামক একটি দলের এক নেতা এই কুলাঙ্গার মামুনুল হকের পক্ষে যেভাবে সাফাই গাইল, এতে বোঝা যায় দ্বীনে ইসলাম শুধুই এদের বেঁচে থাকার জন্য একটি মাধ্যম।’

এতিম শিশুদেরকে রেখে এরা সহানুভূতি পায় উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মনে রাখা প্রয়োজন স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দেশের জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের ছাড়াই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। কিছু এতিম শিশুকে রাখে বলে এরা অনেকের সহানুভূতি পায়। এরা দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, এদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে।’

১৭টি লাশের ওপরে চলছে এদের “রিফ্রেশমেন্ট” জীবন চলছে উল্লেখ করে নওফেল বলেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য অপমানিত করার পর থেকে, এদের স্পর্ধার শুরু, এখন ১৭টি লাশের ওপরে চলছে এদের “রিফ্রেশমেন্ট” জীবন।’

এদেরকে একটা একটা করে ধরে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগুন যারা জ্বালিয়েছে, পিতার ছবিতে হাত যারা দিয়েছে, এদের একটা একটা করে ধরে আনা হবে, আইনের সম্মুখীন করা হবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সর্ব পর্যায়ে এই কাঠমোল্লা গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসে নাই। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি করতে চায় করবে, কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালানোর পরিণাম এদের বোঝাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ছাড় পায় নাই, এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না। ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রয়াল রিসোর্টের পঞ্চম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক ‘নারীসহ’ অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় মামুনুল হক দাবি করেন সাথে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়বা। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু পরে জানা যায় ওই নারীর প্রকৃত নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা