ফজরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করে মেডিকেলের পড়া শুরু করতেন মুনমুন

| আপডেট :  ৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩৭ অপরাহ্ণ

এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মিশরী মুনমুন। তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার মোট প্রাপ্ত নাম্বার ২৮৭.২৫। পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মিশরী মুনমুন।

গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুনমুন জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে পড়াশুনা শুরু করতেন। একইসঙ্গে তিনি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও করতেন।

তার গ্রামের বাড়ি পাবনা শহরের রাধানগর নারায়ণপুর গ্রামে। তার বাবা আবদুল কাইয়ুম স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজে চাকরি করেন। তার তিন বোন, কোনো ভাই নেই। বড় বোন ডাক্তার। চুয়াডাঙ্গায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মেঝো বোন পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজে রসায়ন বিভাগে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়েন।

মুনমুন বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে অসহায় ও চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করব। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা আমার সাফল্য অর্জনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও ভালোবাসা আমাকে প্রতিনিয়ত সাহস যুগিয়েছে। আমি সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, মফস্বল শহরে থেকেও ভালো ফলাফল করা যায়। আমার এ চেষ্টা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। মফস্বল হোক আর শহরে হোক লক্ষ্য স্থীর করে সঠিক পরিকল্পনায় পড়াশুনা করলে সফলতা অর্জন সম্ভব। আমার অনেক বান্ধবী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায়নি। তারা হয়তো সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগায়নি।

এর আগে গত রোববার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন পাবনার মেয়ে মিশোরী মুনমুন।