লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান

| আপডেট :  ৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

আগামী (৫ এপ্রিল) সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার ওষুধ ও খাবারের দোকানের পাশাপাশি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্পকারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আম’রা চাচ্ছি লকডাউনে যেন মানুষের চলাচল যতটা সম্ভব বন্ধ করা যায়। কারণ, যেভাবে করো’না ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের ঘরে থাকা জরুরি। তবে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ ছাড়া পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ, কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করো’নার ঝুঁ’কি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।এ ছাড়াও লকডাউনের বিষয়ে আজকালের (শনি ও রোববার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে নতুন করে করো’নাভাই’রাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গত বছরের ৮ মা’র্চ বাংলাদেশে প্রথম করো’না রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মা’র্চ প্রথম কারো মৃ’ত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর মহামা’রি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মা’র্চ প্রথমবারের মতো ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে গত বছরের ২৬ মা’র্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে।

এর আগে করো’না সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দিন আগে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। নির্দেশনায় সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধ’র্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযু’ক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্ম’দিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয় সরকার।

এ ছাড়া ম’সজিদসহ সব ধ’র্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন না করা, যান চলাচল সীমিত করা, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করাসহ ১৮ নির্দেশনা জারি করে সরকার।

দেশে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের দেহে করো’নাভাই’রাসের আ’ক্রান্ত হন। মৃ’ত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৮৩০ জনের দেহে এই ভাই’রাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃ’ত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের।