সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন যেভাবে

| আপডেট :  ৩০ মার্চ ২০২১, ০৪:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ মার্চ ২০২১, ০৪:১০ অপরাহ্ণ

প্রতিটি মা-বাবাই চান তাদের সন্তান আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠুক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সন্তানরা বিপথগামী হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় সন্তানরা এমন কাজ করে ফেলে যে বাবা-মায়ের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। সন্তানের এমন কর্মকাণ্ডের পেছনে যেমন তার নিজের দায় আছে তেমনই দায় আছে তার বাবা-মায়েরও। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কিছু উপায়

শিষ্ঠাচার শিক্ষা: বাচ্চাকে সমস্ত মানবিক আদব-কায়দা যেমন স্যরি বা থ্যাংক ইউ বলা, অন্যকে সাহায্য করা, কাউকে ব্যাঙ্গ না করা, মিথ্যা না বলা, অন্যের ক্ষতি না করা, গালাগাল না করা ইত্যাদি ছোটোবেলা থেকেই শেখাতে হবে। আর এর জন্য আপনার নিজেকে এবং পরিবারের সকলকেও এসব বিষয় চর্চা করতে হবে। কারণ সন্তান সাধারণত নিজের কাছ থেকে এবং পরিবারের সদস্যদের দেখেই শিক্ষা গ্রহণ করে।

নিয়মিত ‘না’ বলুন: সন্তান যা চাইবে, সেটাই দিয়ে দেবেন না। অনেক পিতা-মাতাই ছোট শিশুরা যেটা চাইছে কান্না থামাবার জন্য সেটাই হাতে দিয়ে দেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে বাচ্চার কান্না থামলেও পরবর্তীতে বাচ্চা ক্রমশ জেদি হয়ে ওঠে। তাই ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে বুঝতে হবে যে চাইলেই সব পাওয়া যায় না, কেঁদে কোন লাভ নেই। ফলে বড় হলেও অযৌক্তিক কোন জিনিস পাবার আশা করবে না।

দান করতে শেখান: যেসব জিনিস আপনার বা বাচ্চাদের এখন লাগছে না, সেগুলো সন্তানদের সাথে নিয়েই অভাবগ্রস্থ মানুষকে দান করে।দিন। এর ফলে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা সহানুভূতির এবং অন্যকে সহযোগিতা করার শিক্ষা পাবে।

শিশুর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করুন: বাচ্চাদের প্রতি নিজের ভালোবাসা নিয়মিত প্রকাশ করুন। তবে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তাকে অতিরিক্ত জিনিস কিনে দিবেন না বরং তাঁদেরকে বাড়িতে তৈরি উপহার দিয়ে ধন্যবাদ জানান। যেমন তার কোনো ভালো কাজের জন্য সুন্দর করে কার্ডে লিখে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। পাশাপাশি সে খুব ভালো কিছু করলে বিনিময়ে তার আকাঙ্ক্ষিত উপহারও কিনে দেবেন মাঝে মাঝে।

চেষ্টা করতে দিন: নিজের জীবনের পথে নিজেকে চলে চলে শিখতে দিন। তাঁরা পড়ে যাবে, ব্যথা পাবে, নিজেরাই আবার উঠে দাঁড়াতে শিখবে। সব পড়ায় দৌড়ে যাবে না ধরতে। বরং তাঁকে পরামর্শ দিন যেন সে উঠে দাঁড়াতে পারে।

ভাল মানুষের সাথে সম্পর্ক: সন্তান কাদের সাথে মেলামেশা করছেন, সেটা খুব খেয়াল রাখুন। যদি এমন সব পরিবারের সাথে মেলামেশা করেন যারা কিনা বাচ্চাদেরকে সঠিকভাবে মানুষ করছে না, অকারণেই দামী জিনিস কিনে দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে আপনার বাচ্চাও দ্রুত এদের দ্বারা প্রভাবিত হবে এবং খারাপ জিনিস শিখবে।

অন্যদেরকে বলুন: বাচ্চাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যেমন দাদা-দাদী, নানা-নানী, খালা, মামা কিংবা চাচা, ফুপিদেরকেও ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলুন যে আপনি কীভাবে ওদের মানুষ করতে চান। তাঁদেরকে বলুন যে সঠিক সময়ে আদর করতে, ভুল হলে বুঝিয়ে বলতে, প্রয়োজনে শাসন করতে।

নিজের গল্প বলুন: সন্তানদেরকে নিয়মিত নিজের গল্প বলুন। আপনি কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন, কীভাবে কষ্ট করতে হয় সেটা তাঁদেরকে জানান।কে

সন্তানকে বিশ্বাস করুন: সন্তানের ওপরে আস্থা রাখুন। কোন কারণে বিশ্বাস বা আস্থা না রাখতে পারলেও সেটা তাঁদেরকে বুঝতে দেবেন না। পাশাপাশি নিয়মিত পকেট মানি দিন অল্প করে এবং সেই টাকা দিয়ে কীভাবে চলতে হবে সেটা শেখান। এতে তার মানি ম্যানেজমেন্ট শেখা হবে এবং সে বুঝতে শিখবে যে টাকা উপার্জন একটি কঠিন কাজ।