জে’নে নিন আদর্শ মা-নানিরা বিয়ের রাতে কন্যাকে যা শিখিয়ে দেন!

| আপডেট :  ২০ মার্চ ২০২১, ০৭:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ মার্চ ২০২১, ০৫:১৩ অপরাহ্ণ

আদরের নন্দিনী মেয়েকে চিরতরে একজনের কাছে তুলে দিতে একজন মায়ের কী কষ্ট লাগে, মমতাময়ী জননীর তখনকী আবেগের ঢেউ খেলে যায়, তার চোখে তখন কত আনন্দ-বে’দনার ভাবনা ভীড় করে তা একমাত্র ওই মা জননীই জা’নেন।

কিন্তু শুধু চোখের পানি ফে’লে কলিজার টুকরা মেয়েকে শুধু বিদায় জা’নানোই নয়, তখন যদি তাকে এমন কিছু উপদেশ শুনিয়ে দেয়া যায় যা তার সারা জীবনের সম্বল হবে।

আগামীর দিনগুলোকে উজ্জ্বল সুখময় করবে তবে তা বড্ড ভালো হয়। সে থেকেই নিচের এই অমূল্য রত্নতুল্যউপদেশগুলো ভাষান্তর করে তুলে ধ’রা হলো। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি বোনের এবং মেয়ের জীবনকে করুন বর্ণিল ও সুখময়।

তুমি তোমা’র বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছো। যেখানে তুমি জ’ন্মেছিলে। যে বাসস্থানে তুমি প্রতিপালিত হয়েছো। যাচ্ছো এমনপরিবেশে যার স’ঙ্গে তুমি মোটেও পরিচিত নও। মিলিত হবে এমন সঙ্গীদের স’ঙ্গে যাদের তুমি চেনো না।অতএব তুমিতার দাসী হয়ে যাও। সে তোমা’র দাস হয়ে যাবে। আর তার জন্য তুমি ১০টি বৈশিষ্ট্য ধারণ করো, তবে সে তোমা’র জন্য সঞ্চিত ধন হয়ে যাবে।

প্রথম ও দ্বিতীয়টি হলো : স্বামীর স’ঙ্গে থাকবে অল্পে তুষ্টির। জীবনযাপন করবে আনুগত্য ও মান্যতার ভেতর দিয়ে।তৃতীয় ও চতুর্থটি হলো: স্বামীর নজরে পড়ার জায়গাগুলো দেখাশোনা করবে। তার নাকে লা’গার স্থানগুলো খুঁজে ফিরবে।

তার দুই চোখ যেন তোমা’র কুৎসিত কিছুর প্রতি পতিত না হয়। আর সুবাস ছাড়া তোমা’র কাছে যেন কোনো গন্ধ নাপায়। সুপ্রসিদ্ধ সুন্দরের সর্বোত্তম হলো চোখের সুরমা। আর পবিত্র সুবাসগুলোর আদি ও সেরা হলো সাবান ও পানি।

পঞ্চম ও ষষ্ঠটি হলো: স্বামীকে খাওয়াবার সুযোগ তালা’শ করবে। তার নিদ্রার সময় নিরব থাকবে। কারণ, ক্ষুধার তাপ মানুষকে তাতিয়ে দেয়। আর ঘুম থেকে কেঁপে ওঠা তাকে ক্ষেপিয়ে দেয়।সপ্তম ও অষ্টম হলো: স্বামীর বাসা ও সম্পদের যত্ন নেবে। তার ও তার পরিবারের প্রতি লক্ষ্য রাখবে।

নবম ও দশম হলো: তার কোনো নির্দে’শ অমান্য করবে না। তার কোনো দোষ খুঁজে বের করবে না। কারণ, তুমি তার নির্দে’শের অবাধ্য হলে অর্থ তার মনটাকে চটিয়ে দিলে। যদি তার কোনো দোষ প্র’কাশ করলে তো তার স’ঙ্গে বিশ্বা’সঘাতকতা করায় অনি’রাপদ হয়ে গেলে।

এরপর আরো মনে রাখবে, তার বিষণ্নতার সময় আনন্দ প্র’কাশ করবে না। আবার তার আনন্দের সময় বিষণ্নতা প্র’কাশ করবে না। কারণ, প্রথমটি তার কাছে অবহেলা মনে হবে এবং দ্বিতীয়টি তাকে বির’ক্ত করবে। তাকে সবচে মর্যাদা তুমি তখনই দেবে যখন তাকে সবচে বেশি সম্মান করবে।

আর এ অবস্থায় তুমি সে পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না যাবৎ না তোমা’র পছন্দ বা অপছন্দের বিষয়ে তার সন্তুষ্টিকে

তোমা’র সন্তুষ্টির ওপর এবং তার চাওয়াকে তোমা’র চাওয়ার ওপর অগ্রাধিকার না দাও। অবশেষে প্রার্থনা, আল্লাহ তোমা’র সার্বিক ক’ল্যাণ করুন। তোমাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করুন।