জীবন-যৌবন দলের পেছনে ব্যয় করা যুবলীগ নেতার জীবন চলে এখন অভাব অনটনে!

| আপডেট :  ১৪ মার্চ ২০২১, ০৬:২৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ মার্চ ২০২১, ০৬:২৫ অপরাহ্ণ

মোঃ ফারুখ মজুম’দার। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্ব শুরু করেন। কর্মী সং’কট থাকায় কিছুদিন দুই সংগঠনকেই চা’লিয়েছেন। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজে’লার চর-কুকরী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রায় ১৭ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে আবারো তাকে একই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি তখন এতে দ্বীমত করলে যুবলীগ সংগঠনের স্বার্থে তাকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ। আনুগত্য স্বরূপ তিনিও মেনে নেন। এরপর থেকে আজ অবধি একই পদে রয়েছেন ফারুখ। মূলদল আওয়ামী লীগ কিংবা ভালো কোন দায়িত্বের জায়গায় স্থান হয়নি ফারুকের। তার অনেক জুনিয়র মুল দল আ’লীগে গিয়ে ভালো ভালো পদ পেয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক। কেউবা হয়েছেন জন প্রতিনিধি। কিন্তু অভাগা ফারুকের ভাগ্যের হয়েছে আরো অ’বনতি।

দক্ষিণআইচা থানা যুবলীগের আহবায়ক আকতার হোসেন বাবুল হাওলাদার বলেন, “ফারুক মজুম’দার দলের জন্য একজন নিবেদিত ও পরীক্ষিত ব্যক্তি। আওমীলীগের দুঃসময়ে তিনি অনেক জু’লুম নি’র্যাতনের শি’কার হয়েছেন। তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। দুঃ’খজনক হলেও সত্য, দলের এই সু দিনেও তিনি একজন বঞ্চিত ব্যক্তি”।

দীর্ঘ দুই যুগের বেশী একই পদে থেকে হয়নি ভাগ্যের কোন পরিবর্তন। বরং অ’নটনে দিন কাটছে তার। নিজ প্রচেষ্টায় ছোট্ট একটি হাসের খামার দিয়ে সংসার চলছে। বড় ছেলেটি অনেক মেধাবী হলেও টাকার অভাবে ভালো কোন কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। অবশেষে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পড়া অবস্থায় বাবার আর্থিক দৈন্যতা দেখে নিজেই ঢাকায় একটি চাকুরীতে যোগ দিয়েছে এই হ’তভাগা কি’শোর।

বুকে চা’পা ক’ষ্ট নিয়েও আত্মসম্মানের ভ’য়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেনা ফারুক মজুম’দার। এসব বি’ষয়ে ফারুক মজুম’দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলার আগেই ফ্যাল-ফ্যাল করে কেঁ’দে ওঠেন। বললেন, ভাগ্যের দো’ষ দেওয়া ছাড়া আমি আর কিছু বলতে পারছি না।

চরফ্যাশন উপজে’লা যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, “ফারুক মজুম’দার ছোটবেলা থেকে আওয়ামী রাজনীতীর সাথে জ’ড়িত। দলের জন্য তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। কিন্ত স্থানীয় কিছু রাজনীতির কারনে সে এগুতে পারেনি অথবা তাকে এগুতে দেওয়া হয়নি”।

স্থানীয়ভাবে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, “স্থানীয় পঁচা রাজনীতির শি’কার ফারুক। কুকরী ইউপি চেয়ারম হাশেম মহাজন এবং আরো কয়েকজন নেতার ইচ্ছা অনিচ্ছার ‍উপরে নির্ভর করে এ অঞ্চলের আওয়ামীলীগারদের ভাগ্য। অনেক যোগ্য দক্ষদেরকে নানা কৌশলে দাবিয়ে রাখা হয়। আর্থিকভাবে প’ঙ্গু করে রাখা হয়। যাতে ঐসব ব্যক্তিদের নেতৃত্বে কেউ ভাগ বসাতে না পারে”।

তবে র্তণমূল নেতাকর্মীরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চরফ্যাশন আ’লীগের অভিভাবক আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সূত্রঃ বরিশাল বাণী