রাস্তায় ফেলা ময়লা তুলে সরকারি কর্মকর্তাদের বাসার গেটে রেখে গেলেন মেয়র আতিক

| আপডেট :  ৮ মার্চ ২০২১, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ মার্চ ২০২১, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে বারবার সতর্ক করার পরেও রাস্তাজুড়ে ময়লার স্তুপ দেখে অভিনব প্র’তিবাদ করলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সড়ক থেকে ময়লা সরিয়ে মিরপুর সেকশন-৬ এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত স’রকারি আবাসনের গেটে এনে সেই ময়লা রাখা হয়েছে।

স’রকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের সামনে স্তূপ করে রাখা ছিল গৃহস্থালির বর্জ্য। সোমবার সকাল ১০টায় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বর্জ্যের স্তূপ দেখে গাড়ি থেকে নামেন। এরপর ওই বর্জ্য স’রকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের ফটকের সামনে রাখার নির্দেশ দেন।

ডিএনসিসি মেয়রের এমন পদক্ষেপ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন এই সড়কে স’রকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের বর্জ্য ফেলা হয়। এতে এই পথে চলতে স’মস্যা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান রাস্তার একটা বড় অংশজুড়ে ময়লার স্তুপ, এরপর সিদ্ধান্ত নেন এই ময়লা স’রকারি আবাসনের গেটের সামনে ফাঁকা জায়গা রাখা হবে। যেই কথা সেই কাজ। ময়লা অপসারণের যন্ত্র দিয়ে সেই রাস্তার ময়লা নিয়ে রাখলেন স’রকারি আবাসনের গেটের সামনে।

এ বি’ষয়ে মেয়র আতিক সাংবাদিকদের বলেন, দেখু’ন এখানে ৬৫০টার বেশি ফ্লাট আছে। যারা এই ভবনটা করেছেন তারা একবারও চিন্তা করেন নাই যে, ৬৫০টি ফ্ল্যাট বা ৭২০ ফ্ল্যাটের মালিকরা ময়লাটা কোথায় ফেলবেন? ওনারা ময়লাটা রাস্তায় ফে’লে দিয়েছেন। স’রকারি কর্মকর্তারা রাস্তায় ময়লা ফেললে বাকিরা কি করবে? অভিনব প্র’তিবাদের বি’ষয়ে মেয়র আতিক বলেন, বলেছি ময়লাটা পরিষ্কার করে ওনাদের সামনে যে সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা আছে সেখানে ফে’লে দেন।

আমি বলেছি ভেতরে জায়গা দিন, ওনারা বলেছেন ভেতরে গন্ধ হবে। ভেতরে গন্ধ হবে আর রাস্তার ও’পরে ফে’লে দিচ্ছে এটা তো হাজার হাজার জনগণ গন্ধ পাচ্ছে। তাই আমি তাদের একটা ম্যাসেজ দিতে চাই যে আপনার দ্রুত সবার সঙ্গে আলাপ করে একটা জায়গা দিন আমি এসটিএস করে দেব।

এসটিএসের জন্য টাকা চাচ্ছি না। আমরা নিজের খরচে এসটিএস করে নেব। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র পাশের খাল পরিদর্শন করেন। সুত্রঃ যুগান্তর