আসুন জেনে নেই আদার অজানা উপকার

| আপডেট :  ১ মার্চ ২০২১, ০৫:১৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ মার্চ ২০২১, ০৫:১৮ অপরাহ্ণ

আদা এমন একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আবার মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যেও অন্যতম আদা। খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয় এটি। আবার ভেষজ ঔষধ হিসেবেও খুব জনপ্রিয় আদা। শুধু এই আদা সেবনের মাধ্যমেই রক্ষা পাওয়া যায় বড় বড় রোগের আক্রমণ থেকে।

তাই আর দেরি না করে আসুন জেনে নেই রোগ মুক্তিতে আদার নানা ভূমিকা।আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর-জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা।

গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা। পাশাপাশি, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।পেটের অস্বস্তি বা পীড়ায় আদা একটি আদর্শ পথ্য। হজমে সহায়তার পাশাপাশি খাবারের গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে আদা। কিছু খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার পর পেটব্যথায় ভোগার সমস্যা থাকলে, সেটা দূর হয়ে যাবে।

পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটি।আদা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। পাশাপাশি, ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় আদা অন্যতম ভূমিকা রাখে।ব্যথা ও শরীরে যে কোন ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে আদা। প্রাকৃতিকভাবেই এতে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান।ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী।দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদা।খাবার খাওয়ার পর পুষ্টি-উপাদানসমূহ যদি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষগুলোতে পরিপূর্ণভাবে না পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহকে সহায়তা করে।