কে হচ্ছেন আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতি?

| আপডেট :  ১ মার্চ ২০২১, ০১:১৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ মার্চ ২০২১, ০১:১৬ অপরাহ্ণ

আজ সোমবার আপিল বিভাগের অন্যতম বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার অবসরে গেছেন। তার অবসরের ফলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টর আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা (প্রধান বিচারপতিসহ) দাঁড়ালো ছয়জনে। সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা হচ্ছে, স’রকার কি এখনই নতুন একজন হাইকোর্টের বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেবেন, নাকি এই পদ শূণ্য থাকবে আপাতত?

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এখন যে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন তারা হলেন, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্ম’দ ঈমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী, বিচারপতি নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে কতজন বিচারপতি থাকবে তা রাষ্ট্রপতির ইচ্ছার ও’পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ৯৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি যে রূপ সংখ্যক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজন বোধ করিবেন, সেই রূপ সংখ্যক বিচারক লইয়া সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হইবে।’ সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ বা’ধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কাজেই আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ বি’ষয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময়ই জেষ্ঠতা লংঘনের ইস্যুটি সামনে আসে এবং এ নিয়ে বিতর্ক হয়। যদিও হাইকোর্টের জেষ্ঠতম বিচারক কেউ আপিল বিভাগে উন্নীত করতে হবে এমন কোন সাংবিধানিক বা আইনি বা’ধ্যবাধকতা নেই।

এখন হাইকোর্টের জেষ্ঠতম বিচারক হলেন সালমা মাসুদ চৌধুরী। তারপর আছেন যথাক্রমে বিচারপতি আবদুল হাফিজ এবং বিচারপতি রিফাত আহমেদ। এখন প্রশ্ন হলো, আপিল বিভাগের শূণ্য হয়ে যাওয়া বিচারপতির পদটি কি এখনই পূরণ করা হবে, নাকি এটি আপাতত এরকমই থাকবে। আইন মন্ত্রনালয়ের সূত্রগুলো বলছে, যেহেতু এখন মা’মলার চা’প অনেক বেশি, তাই একজন বা একাধিক আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগের বি’ষয়টি স’রকারের বিবেচনাধীন।

তবে আইন বিভাগ এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির মতামতকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। তবে, আপিল বিভাগের যদি বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে জেষ্ঠতা অনুসরণ করা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যেই। অনেকেই মনে করেন, জেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয় যোগ্যতার ভিত্তিতেই হয়তো আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।