রাতে ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েটি এক এক করে খুলেন নিজের পোশাক, সকালে ফেরেন বোরকা পরে

| আপডেট :  ১ মার্চ ২০২১, ০৩:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ মার্চ ২০২১, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

পা, হাত আর চোখের যাদু দেখাতে থাকেন। কালো বোরকায় ঢাকা ফর্সা শরীর অমাবস্যার চাঁদের মতো উঁকি দিতে থাকে। কখনও কখনও শাড়ি পরে শুরু করেন।রঙিন আলোয় তার শ’রীর, গোলাপী ঠোঁট দর্শকদের মধ্যে ভীষণ আবেদন ‘ছড়িয়ে দেয়। মনে হয় যেনো আরব্য রজনীরকোনো নর্তকী। ধীরে ধীরে ভাঁজ খোলে আনন্দ ছড়িয়ে দেন।

বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে এক এক করে খুলেন নিজের পোশাক। ছু’ড়ে দেন পছন্দের পুরুষের নাকে-মুখে। এভাবে ধীরে ধীরে উষ্ণতা ছড়াতে থাকেন। বিটের তালে তালে রাতভর থেমে থেমে পুরো শরীর প্রদর্শন করেন। এই ত’রুণীর সঙ্গ পেতে, একটু কাছে পেতে নক করেন অনেকেই। কিন্তু প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি একান্তে সময় দেন না তিনি। অবশ্য এজন্য অর্থ গুনতে হয় বেশ।

তাই বিত্তশালী ছাড়া সবার ভাগ্যে জুটে না ভার্সিটি পড়ুয়া কুড়ি বছরের এই ত’রুণীর সান্নিধ্য। মিম নামের এই ত’রুণীর নানা রূপ। এই পরিবেশে যেমন খোলামেলা। বাইরে একদম অচেনা।

রাত শেষে ভোর। দেখে বুঝার উপায় নেই এই মেয়েটি সারারাত নিজের রূপ-সৌন্দর্যে উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তার পুরো শরীর ছিলো প্রায় উন্মুক্ত। নাচ, গান থেকে লঞ্চের কেবিনে তিনিই সময় কাটিয়েছেন কয়েকজনের সঙ্গে। ভোরে বোরকা পরে প্রস্তুতি নেন বাসায় ফেরার। বাসা যাত্রাবাড়ী। মা, বাবা, ভাই, বোন সবাই আছে। বাড়তি টাকা রুজির জন্যই বেছে নিয়েছেন এই পথ।

একটা সময় ছিলো ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে কমার্শিয়াল পার্টিতে ডান্স করতেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক আগেই সেগুলো বন্ধ। তারমধ্যে ক’রোনার প্র’কোপ। সব মিলিয়ে খা’রাপ যাচ্ছিলো সময়। মিম অবশ্য থেমে থাকেননি।

বাবু নামে এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে খোঁজ পান নতুন মাধ্যমের। সদরঘাট থেকে প্রতি বৃহস্পতিবারে যাত্রা করে প্রমোদতরী। গন্তব্যহীন এই লঞ্চ রাতভর জলে ভাসে। লঞ্চের ভেতরে থাকে বিলাসী আয়োজন। নাচ, গান, ম’দ, জু’য়া..।

ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে জু’য়াড়িদের পাশে বসে থাকলেও বকশিশ মেলে। খেলার ফাঁকে ফাঁকে জু’য়াড়িরা হাত বুলিয়ে দেন নরম শরীরে। ত’রুণী হাসিমুখে সেবা দিয়ে প্রা’ণবন্ত রাখার চেষ্টা করেন। ম’দ, বিয়ারের গ্লাসটা এগিয়ে দেন। এরকম অন্তত ১৫-১৬ জন ত’রুণীর মধ্যে মিম একজন।

মিম নাচ জানেন ভালো। ফিল্মে অভিনয়ের জন্য নাচ শিখেছেন। অভিনয়ও করেছেন দু-একটি ফিল্মে। কিন্তু তা আর মুক্তি পায়নি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মিম। নিজের বিলাসী চাহিদা পরিবারের মেটানো সম্ভব না বলেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বেছে নেন এই কর্ম। মিমের প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণ পরিচিত পুরুষদের। চ’রম আবেদন ছড়িয়ে দেন তিনি।

নির্দিষ্ট অর্থ দিলেই মিমকে মেলে লঞ্চের কেবিনে। পরিবারের সবাই জানে মিম (ছদ্মনাম) ডিজে। আয়োজকদের কমিশন বাদ দিয়ে একরাতে তার আয় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। সপ্তাহে এমন একটি রাত পান তিনি। তবে মিম জানান, সম্প্রতি লঞ্চ পার্টিতে যাচ্ছেন না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির কারণেই তা বন্ধ আপাতত।

গত ১২ই ফেব্রুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি লঞ্চে অ’ভিযান চা’লিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, জু’য়া ও মা’দক গ্রহণের দায়ে ৪৯ নারীসহ ৯৬ জনকে গ্রে’প্তার করে র‌্যা’ব। এ সময় অ’ভিযুক্ত বিলাসবহুল ‘এমভি রয়েল ক্রুজ-২’ নামের লঞ্চটিও জ’ব্দ করা হয়।

লঞ্চে মা’দক ছাড়াও পাওয়া গেছে, দুটি জি-লুব্রিকেটিং জে’ল, দুই বোতল ভিগোসা শরবত, এক বোতল তনু লায়ন ফ্রট সিরাপ, ৫০ গ্রামের এক বোতল শুভ আজমেরি গোল্ড সিরাপ। র‌্যা’ব-১০ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান জানান, লঞ্চে জু’য়া, ম’দ, অ’শ্লীল-অসামাজিক কর্মকা- হতো। খবর পেয়ে অ’ভিযান চা’লায় র‌্যা’ব।