হঠাৎ পাওয়া গেল হীরক ভাণ্ডারের সন্ধান;মাটি খুঁড়লেই উঠছে হিরে! তোলপাড় গ্রাম,যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

| আপডেট :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে হঠাৎ সন্ধান পাওয়া গেল হীরক ভাণ্ডারের। মাটি খুঁড়লেই উঠে আসছে হিরের টুকরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাতারে কাতারে গুপ্তধন সন্ধানী ভিড় করলেন ওয়ানচিং গ্রামে।চলতি সপ্তাহের গোড়ায় নাগাল্যান্ডের মন জেলার এই গ্রামে টিলার উপরের জঙ্গল সাফ করার সময় মাটির নীচে বেশ কিছু স্ফটিকের টুকরো খুঁজে পান কয়েকজন গ্রামবাসী।

তাঁদের মুখ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। সকলেই ধরে নেন, ওই স্ফটিক নির্ঘাত হিরের টুকরো। সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গ্রামে।সকলেই কোদাল-বেলচা-গাঁইতি কাঁধে পৌঁছে যান টিলার উপরের জঙ্গলে। শুরু হয় মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন উদ্ধারের চেষ্টা।

এ দিকে অত্যুৎসাহীরা সেই ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে হিরে আবিষ্কারের গল্প ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তার জেরে ওয়ানচিং গ্রামে ভিড় জমতে শুরু করে হিরে সন্ধানীদের। বাধ্য হয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়ানচিং গ্রাম পঞ্চায়েত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টের উপরেও জারি হয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ।

এ দিকে মন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই খবর পৌঁছেছে প্রশাসনের কানেও। উদ্ধার হওয়া স্ফটিকগুলি সত্যিই হিরে কি না,তা খতিয়ে দেখতে ওয়ানচিং গ্রামের উদ্দেশে শুক্রবার রওনা হয়েছেন চার ভূতাত্ত্বিক। ৩০ নভেম্বর অথবা ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের গ্রামে পৌঁছানোর কথা। সরেজমিনে তদন্তের পরে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।

মন জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া স্ফটিক আদৌ হিরে কি না, তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তবে হিরে না হলেও স্ফটিকগুলি কোয়ার্টজ জাতীয় পাথরের ভগ্নাবশে, বলে তিনি মনে করছেন।

বিভিন্ন কাজে সহায়ক হওয়ায় তার মূল্যও কিছু কম নয় বলে তাঁর দাবি। ফলে তাতে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্থানীয়দের, মনে করছেন ডেপুটি কমিশনার। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান না করা পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য ভিত্তিহীন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অন্য দিকে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জি টি থং জানিয়েছেন, ‘পাথরগুলি সাধারণ কোয়ার্টজ স্ফটিক। নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্তে হামেশাই এই স্ফটিকের দেখা পাওয়া যায়।’ তাঁর মতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কেউ সরল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। মন জেলা বা ওই অঞ্চলে এর আগে হিরের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক।