পুকুর নেই ইউটিউব দেখে ঘরেই মাছ চাষ করে মাসে আয় লাখ টাকা

| আপডেট :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

অতিমা’রীর তান্ডবে দেশের অর্থনীতি যখন তলানীতে এসে ঠেকেছে তখন,মাগুর মাছ চাষ করে লাখ টাকা রোজগার করছেন জলপাইগুড়ি‌র ডেঙ্গু‌য়াঝাড় চা-বাগানের এক মহিলা শ্রমিক। মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাছ চাষের ভিডিও এবং পদ্ধতি দেখে মাগুর মাছ চাষ শুরু করেছিলেন কল্পনা রায় নামে ওই চা-শ্রমিক। স্বামী খগেন রায় গত দশ বছর আগে অসু’স্থ হয়ে আচ’মকাই মা’রা যান। এই প’রিস্থিতিতে একমাত্র

ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করার স্বপ্ন ভাঙতে বসেছিল কল্পনার। তবে হাল ছাড়েননি কখনও। রোজগার বাড়ানোর জন্য চা-বাগানে কাজ করার পাশাপাশি অন‍্য কিছু ক’রতে চাইছিলেন তিনি। এর‌ই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাগুর মাছ চাষের পদ্ধতি রপ্ত করে বহরমপুরে যোগাযোগ করেন তিনি। জা’না গিয়েছে, তাঁরা‌ই সেখান থেকে পোনা মাছ পাঠিয়ে দেন জলপাইগুড়ি‌তে। ডেঙ্গু‌য়াঝাড় চা-বাগানের টাটা লাইনের বাসিন্দা কল্পনা রায়

জা’নান, প্রথমে তিন হাজার মাছ দিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। খরচ হয়েছিল আট হাজার টাকা। তিন মাস পর সেগুলো বিক্রি করে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তিরিশ হাজার টাকা‌র বেশি লাভ হয়েছিল। এখন তাঁর কাছে তিনটি চৌবাচ্চায় মোট পনেরো হাজার মাছ রয়েছে। বাড়ির উঠোনে

জায়গা কম থাকায় নিজে’র রান্নাঘরে দুটো চৌবাচ্চা তৈরি ক’রেছেন। এদিন তিনি বলেন, “ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। মাছ চাষের রোজগারের এই অর্থ দিয়ে ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করে তোলাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।”

আরও পড়ুনঃ বাবা-মায়ের যেসব ভুলের কারণে সন্তান প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয় বাবা-মায়ের যেসব ভুলের কারণে সন্তান প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয় – বাবা মায়ের সামান্য একটু ভুলের কারণে তার সন্তানকে আজীবনের জন্য কষ্ট করতে হয় এবং নিন্দা বইতে হয়। অনেক প্রতিবন্ধী শিশু আছে যাদের জন্য তার বাবা মায়ের আজীবন চোখের পানি ফেলতে হয়। কিন্তু

যদি একটু সতর্ক হওয়া যায় এবং কিছু নিয়ম নিতি মেনে চলা হয় তবেই এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আজ আপনার ডক্টর আপনাদের জন্য নিয়ে এলো বাবা মায়ের যে ভুলের কারণে অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম গ্রহণ করে? তাহলে আসুন জেনে নিই ভুলগুলো ও

শুধরে নিই নিজেদের।শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে বাবা মায়ের কিছু ভুলের কারণে গর্ভবতী অবস্থায় ঔষধ গ্রহণ গর্ভাবস্থায় শিশুর মা যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নানা প্রকার ঔষধ খেতে থাকে, তা শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক ঔষধ ভ্রুনের অঙ্গ সৃষ্টিতে বাঁধার সৃষ্টি করে ফলে শিশু যে কোন ধরনের বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি গর্ভবতী মা যদি

দীর্ঘদিন যাবৎ রক্তাল্পতায় ভোগেন, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খান তবে ভ্রুনের গঠনগত বিকলাঙ্গড় দেখা দেয়, মস্তিস্কের বিকাশ ব্যাহত হয়, ফলে শিশু বিকলাঙ্গ অথবা প্রতিবন্ধী হয়। দেখা যায় এই কারণেই বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ নবজাতক কম ওজন নিয়ে জন্মায় এবং তাদের অর্ধেকেরই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে জন্মের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।গর্ভাবস্থায় মায়ের রোগসমূহ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে মা যদি যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া,

জার্মানহাম, চিকেনপক্স, মাম্পস, রুবেলা ভাইরাস, এইডস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হন তবে গর্ভস্থ শিশুর উপর তার প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়।এর ফলে ছেলেমেয়ে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। এ ছাড়া মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্ত চাপ, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা প্রভৃতি শারীরিক অবস্থায় গর্ভস্থশিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে।মায়েরা ফরমালিন দেয়া খাদ্য খেলে মায়েরা ফরমালিন দেয়া

খাদ্য খেলে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিতে পারে। এর পাশাপাশি সন্তানেরা বোকা হাবা-গোবা হয়ে যেতে পারে।শিশু থেকে মা-বাবার আলাদা বিছানায় ঘুমানো উচিত। মায়ের বয়স গর্ভধারনের সময় মায়ের বয়স কম বা বেশি দুটিই শিশুর জীবনের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ। অপরিণত বয়সে প্রজণন অঙ্গের বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না। তাই অপরিণত বয়সে মা হলে ত্রুটিপূর্ণ ছেলেমেয়ে জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার বেশি বয়সে অন্ত:ক্ষরা

গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যাবলি হ্রাস পায়। তাই ৩৫ বৎসরের পর যে সব মহিলা প্রথম সন্তান জন্ম দেন, সে সব ছেলেমেয়ে বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হওেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় ঘণ ঘণ খিঁচুনি গর্ভাবস্থায় মা যদি ঘন ঘন খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হন তবে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে অক্সিজেনের অভাব ঘটে ও তার মস্তিস্কের ক্ষতি করে। ফলে ছেলেমেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় তেজস্ক্রিয় পদার্থের

প্রবেশ গর্ভাবস্থায় বিশেষত প্রথম তিন মাস এক্স-রে বা অন্য কোনো ভাবে মায়ের দেহে যদি তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রবেশ করে তবে গর্ভস্থ ভ্রুণের নার্ভতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হয়।মা বাবার রক্তের RH উপাদান মা যদি Rh পজেটিভ আর বাবা

যদি Rh নেগেটিভ হয় তা হলে গর্ভস্থ সন্তানের Rh পজেটিভ বা নেগেটিভ হতে পারে। মা ও সন্তানের Rh উপাদানের মধ্যে যদি মিল না থাকে তবে তাকে Rh অসংগতা Rh Incompatibility বলা হয়। এতে মৃত সন্তান হয়। আর যদি শিশু বেঁচে যায় তাহলে পক্ষাঘাতগ্রস্থ বা মস্তিস্কের ত্রুটি নিয়ে জন্মায়।