স্ত্রী না বান্ধবী, কাকে ছেড়ে কাকে ধরে রাখবেন, আজব সমাধান পুলিশের !!

| আপডেট :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

প’রকীয়ার স’মস্যায় জ’র্জরিত জীবন। ‘শ্যাম রাখি না কুল’ এর মতো স্ত্রী না বান্ধবী, কাকে ছেড়ে কার আঁচল ধরে রাখবেন, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। আবার দু’জনের দ্ব’ন্দ্বও মেটাতে পারছেন না। তবে, এই সহজ সমাধানের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলুন দ্ব’ন্দ্ব। সপ্তাহের তিন দিন কা’টান ‘বেটার হাফ’ অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে আর তিন দিন ‘গার্লফ্রেন্ড’ এর সঙ্গে। আর মাঝের একদিন বিশ্রাম অর্থাৎ ছুটি নিতে পারেন!

এই অভিনব সমাধানই ভারতের রাঁচির কোকার তিরিল রোডের বাসিন্দা রাজেশ মাহাতোকে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। রাজেশসহ বাকি দু’পক্ষ তা মেনেও নিয়েছিল। যার জন্য কিছুদিনের জন্য দ্ব’ন্দ্ব ধা’মাচা’পা পড়লেও আ’গুন পুরোপুরি নেভেনি। পরে, রাজেশের প্রেমিকা তার বি’রুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নি’ র্যাতনের অ’ভিযোগ তু’লে মা”মলা দা’য়ের করেছেন। ফলে রাজেশের নামে গ্রে’ ফতারি প’রোয়ানা জা’রি হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি প”লাতক।

ঘটনার শুরু যেখানে: বিবাহিত এবং স’ন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও, এক ত’রুণীর প্রেমে পড়েন রাজেশ। পুরো বি’ষয়টি গোপন রেখে জড়ান প’রকীয়া স’ম্পর্কে। এর কয়েকদিন পরই প্রেমি’কাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পা”লিয়ে যান তিনি। উপায় না দেখে তার স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হন। থানায় গিয়ে স্বামীর নামে অ’ভিযোগ দেন।

ওদিকে, ত’রুণীর পরিবারও পাল্টা রাজেশের বি’রুদ্ধে অ’ ০পহরণের অ’ভিযোগ দা’য়ের করে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ তখন রাজেশের খোঁজ শুরু করে। সন্ধান পাওয়ার পর জানা যায়, প্রেমিকাকে ইতোমধ্যেই বিয়ে করেছেন রাজেশ।

এরপর আবার থানায় আসেন দু’পক্ষ। রাজেশকে মাঝখানে রেখে শুরু হয় আলোচনা। কিন্তু দু’পক্ষকে কোনভাবেই শান্ত করতে পারছিল না পুলিশ। পরে বের করা হয় এই অভিনব সমাধান।

ঝাড়খণ্ড পুলিশ রাজেশকে পরামর্শ দেয়, সপ্তাহের প্রথম তিন দিন স্ত্রীর সঙ্গে কা’টাতে, আর বাকি তিন দিন প্রে’মিকার সঙ্গে কা’টাতে। মাঝের এক দিন তিনি ‘ছুটি’ নিতে পারেন।

প্রথমে দু’পক্ষ এই প্রস্তাব মেনেও নেয়। তারা ‘অফিসিয়ালি’ ‘ডিল’ সই করে। দু’পক্ষকেই এই সংক্রান্ত নথির ‘কপি’ও দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কয়েক দিন পরই পুরো ঘটনার সুর কে’টে যায়। কারণ রাজেশের প্রেমিকা ফের তার বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ করে থানায়। এরপর থেকেই তিনি প”লাতক।