যুক্তরাষ্ট্র থেকে টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক, নিরুপায় হয়ে সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ

| আপডেট :  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪০ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভার এলাকার বাওয়ার কুমারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তানিয়া রহমান ২০১৯ সালে অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তিন মাসের জন্য ছুটি নেন।তবে গেল দেড় বছর যাবৎ তিনি করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারছিল না উপজেলা শিক্ষা অফিস।

শিক্ষা অফিস জানায়, ২০১৯ সালের ০৩ জুলাই তিন মাসের জন্য ছুটি নেন ওই শিক্ষিকা। তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষের কারো সাথে কোনো ধরণের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি তার।

উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার তার ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হলেও লোকজন না থাকায় চিঠিটি কারো কাছে পৌঁছানোও সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকা তানিয়া রহমানের সাথে ভাচ্যুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেশে থাকাবস্থায় শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে রাজধানীতে চিকিৎসা নেই।

কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি জুলাই মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে যাই। তিন মাসের ছুটি শেষ হওয়ার পর আরো ২ মাসের ছুটি নেই। সেখানে গিয়ে করোনার কারণে ২৫ দিন আইসোলেশনে থাকতে হয়।

পরে লকডাউন জারি করা হলে আমি আটকা পড়ে যাই। ওই বছরের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। পরের বছরের জানুয়ারিতে তার স্বামীও করোনায় আক্রান্ত হন। যে কারণে ওই দেশের নিয়মানুযায়ী তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন।

জানান ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি এবং তার সহকর্মী বা শিক্ষা অফিসারের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেননি। এখনও ওই শহরের অবস্থা করোনার কারণে খারাপ বিধায় তিনি আসতে না পেরে নিরুপায় হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগে তিনি বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে (চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত) পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। বুধবার সকালে পত্রটি হাতে পেয়েছি।