সুদের টাকার জন্য মা’কে গা’ছে বেঁ’ধে নি”র্যা’তন, বাঁ’চাতে এগিয়ে গেলে মে’য়েকেও বেঁ’ধে রাখে

| আপডেট :  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজে’লার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সিরাজপুর এলাকার সুদের টাকা আদায় করতে বি’ধবা মা ও স্কুলে পড়ুয়া মে’য়েকে গা’ছের স’ঙ্গে বেঁ’ধে নি’ র্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রে’ ফতার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, গ্রে’ফতার ওই ব্’যক্তি ঘটনার মূলহোতা।

ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে নি’র্যাতনের শি’কার মমতাজ বেগম কালিয়াকৈর থানায় একটি অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনার সঙ্গে জ’ড়িত সবুজ নামে একজনকে গ্রে’ফতার করা হয়। গ্রে’ফতারকৃত সবুজ (৫০) উপজে’লার সিরাজপুর এলাকার মৃ’ত মুক্তার আলীর ছে’লে। ভু’ক্তভোগীরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজে’লার সিরাজপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী বি’ধবা নারী ও তার ১৬ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া মেয়ে।

ওই ঘটনায় বি’ধবা না’রী বা’দী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর একটি মা’মলা দা’য়ের করেন। মা’মলার আ’সা’সিরা হলেন, ড্রাইভার আব্দুল গফুর, মনির, রিপন, শিল্পি, মুক্তা, শহীদ, কুলছুম ও নয়ন সিকদার। এদিকে সবুজ এজাহার ভু’ক্ত আ’সামি না হলেও কালিয়াকৈর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে গ্রে’ফতার করে।

ঘটনার প’রিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতা হিসেবে সবুজকে মা’মলায় আ’সামি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ও কালিয়াকৈর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই ঘটনার মূলহোতা সবুজকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রে’ফতারের চে’ষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, উপজে’লার সিরাজপুর এলাকায় গত ৫ বছর আগে ভু’ক্তভোগীর স্বা’মী আব্দুর রশিদ ফুসফুস জনিত রো’গে আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা যান। এরপর ওই না’রী তার একমাত্র মে’য়েকে নিয়ে বনের জমিতে বসবাস করে আসছেন। এছাড়া তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করে তার মে’য়ের লেখাপড়া চা’লিয়ে যাচ্ছেন। অ’ভাব-অ’নটনের মধ্যে তাদের সংসার চলছে। কিন্তু তাদের সংসারে হা’না দেয় একটি প্র’তারক চ’ক্র। ওই চ’ক্রের ফাঁ’দে পড়ে স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক প্রায় ৩ লাখ টাকা ঋ’ণগ্রস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে বা’ধ্য হয়ে স্থানীয় গফুর ড্রাইভার ও মনির হোসেনের পরিবারসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিতে হয়েছে।

এ বি’ষয় নিয়ে চলতি মাসের ১ তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম সিকদার মধ্যস্থতা করে সুদের টাকা প’রিশোধের জন্য এক মাসের সময় বেঁ”ধে দেন। কিন্তু বেঁ”ধে দেওয়া সময় শেষ না হতেই গফুর ড্রাইভার, তার স্ত্রী কুলসুম বেগম, ছেলে রিপন হোসেন এবং মনির হোসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম, মেয়ে মুক্তা আক্তার, ছেলে শহিদ হোসেন, স্থানীয় নয়ন হোসেন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভু’ক্তভোগীর বাড়ি ঘে’রাও করে।

এ সময় তারা সুদের টাকা আদায় করতে বি’ধবা মমতাজ বেগমকে একটি গা’ছের সঙ্’গে র’শি দিয়ে বেঁ’ধে মা”রধ’র করতে থাকে। মা’কে মা”রধরের হা’ত থেকে বাঁ’চাতে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মে’য়ে এগিয়ে গেলে তাকেও একই গাছে বেঁ’ধে রাখে। এ করুণ দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভু’ক্তভো’গীর ছোট বোনকেও গা’ছের স’ঙ্গে বাঁ”ধার চে’ষ্টা করেন।