ফেনীর সেই আলোচিত নুসরাতের ভিডিও ছ’ড়িয়ে কা”রাগা’রে থাকা ওসি মোয়াজ্জেমের জা’মিন আবেদন

| আপডেট :  ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:২৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:২৯ পূর্বাহ্ণ

অ’গ্নি স/’ন্ত্রা’সে প্রা/’ণ হা/’রা’নো ফেনীর মা’দ্রাসাছা’ত্রী নুসরাত জাহান রাফীর জ’/বানব’ন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছ’ড়িয়ে দেওয়ায় ডিজিটাল নি’রাপ’ত্তা আইনের মা’/’ম’লায় দ’ণ্ডি’ত সোনাগাজী থানার সা’বেক ও’সি মোয়াজ্জেম হোসেন জা”/মিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। এ আবেদনের ও’পর শু’নানি তিনমাসের জন্য মূলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যা’টর্নি জে’নারেল রেজাউল করিম।

শুনানিতে মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী মুরাদ রেজা আ’দালতে বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ক’রেনি। ওই ভিডিওটি ওসির মোবাইল থেকে নিয়ে একজন সাং’বাদিক প্রকাশ করেছে। তাই এক্ষেত্রে ও’সি কোনো অ”/পরাধ ক’রেননি। যদি অ”পরা’ধ হয় তাহলে সেটা করেছে ওই সাংবাদিক। কারন সাং’বাদিক ভিডিওটা প্রকাশ করেছে।

এসময় আ’দালত বলেন, সাং’বাদিককে সুযোগ করে দিলে সে তো তথ্য প্রকাশ করবেই। সাং’বাদিকের কাজই হলো তথ্য প্রকাশ করা। সাংবাদিকের অনুসন্ধিৎসু মন তথ্য তো খুঁজবেই, এতে অ’/’পরা’ধের কিছু দেখছি না। আ’দালত বলেন, একজন ও’সি একটি থানার দায়িত্বশীল ক’র্মকর্তা। তিনি কেন ব্য’ক্তিগত মোবাইলে ভিডিও ধারণ করবেন? ওই ভিডিও ধারন করাটাকেই অ”/পরাধ মনে করছি। আর বিচারিক আ’দালত তো এসব বি’ষয় বিবেচনায় নিয়েই সাজার রায় দিয়েছেন।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মা’দ্রা’সার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বি’/রু’দ্ধে ছা’ত্রী নুসরাত জাহান রাফীকে যৌ’/’ন নি’/র্যা’তনের অ’ভিযো’গে তার মা ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থানায় অ’ভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে থানায় ডে’কে নিয়ে তার জবা’নব’ন্দী রেকর্ড করেন। পরে তা ইন্টারনেটে ছ’ড়িয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রা’ইম ট্রা’ইব্যুনালে ও’সি মোয়াজ্জেম হোসেনের বি”রু’দ্ধে ওইবছরের ১৫ এপ্রিল মা’ম’লা করেন। এ মা’ম’লায় ট্রা’ইব্যুনাল ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর দুটি ধারায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কা”রাদ”ণ্ড ১০ লাখ টাকা জ’রিমানা, অ’নাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কা”রাদ”ণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বি’রু’দ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ অবস্থায় মোয়াজ্জেম হোসেন জা”মিন আবেদন করেন।

২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল নুসরাতের গা”য়ে কে”রো’সিন ঢে’লে আ’/গু’ন ধ’রিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হা’সপাতা’লে চি’কিৎসাধীন অবস্থায় ওইবছরের ১০ এপ্রিল মা’/’রা যান নুসরাত। এ ঘটনায় করা মা”ম’লায় বিচার শেষে ওইবছরের ২৪ অক্টোবর মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬জনকেই মৃ’’ত্যুদ”ণ্ড দেয় ফেনীর আ’দালত।

এসব আ’সা’মির বি’রু’দ্ধে ফাঁ’/’সির রায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো ডে’থ রেফারেন্স এবং সা’জার বি’রু’দ্ধে আ”সা’মিদের আ’পিল হা’ইকোর্টে বি’চারাধীন। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ