সন্তান ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে অভিভাবকের যা করণীয়

| আপডেট :  ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

প্রায়ই শোনা যায় স’ন্তান তার পছন্দ অনুযায়ী পরিবারের অজান্তেই স’ম্পর্কে জ’ড়িয়েছে। বি’ষয়টি পরে বুঝতে পারে পরিবার। ঠিক সেই সময়েই বাধে আ’পত্’তি। পরিবার থেকে কখনও সেই স’ম্পর্ক মে’নে নিতে চায় না। এদিকে স’ন্তানও সম্পর্ক থেকে বে’রিয়ে আসতে পা’রছে না। আবারও প’রিবার থেকে বুঝতে পারে স’ম্পর্কের বি’পরীতে থাকা স’ঙ্গী একদমই ভা’লো না। যে কারণে প’রিবারের কি’শোর বা কি’শোরী মাঝে মধ্যেই লু’কিয়ে কা’ন্না করে। কিন্তু স’ন্তানও এ বি’ষয়ে প’রিবারের কারো সঙ্গে কিছু আলাপ-আলোচনা করে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক স’ম্পর্কের মধ্যেই জ’টিলতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে টি’নেজে গড়ে উঠা সম্’পর্কে বিভিন্ন স’ম’স্যা থেকেই যায়। অল্পবয়সীদের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি নতুন হওয়ায় তারা অত্যন্ত আকর্ষণ ও উ’ত্তে’জিত হয়ে থাকে। কিন্তু এটা জানে না যে, বি’পরীত লি’ঙ্গের মা’নুষকে নতুন নতুন চেনা-জানার মধ্যে যেমন মজা রয়েছে ঠিক তেমনই কিছু জ’টিলতাও থাকে।

ছে’লে-মে’য়ে এই বয়সে স’ম্পর্ক ও স’ম্পর্কের বি’ষয়ে প’রিবারের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বেশ দু’শ্চিন্তায় থাকেন। তাই স’ম্পর্কে থাকা অবস্থায় স’ন্তানদের স’ঙ্গে কোনও প্রকার দু’র্ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। এই সময় ঠা’ণ্ডা মা’থায় বুঝাতে হবে তাদের। প্রকৃত সম্’পর্ক কেমন হয় তা বু’ঝিয়ে বলতে হবে তাদের।

স’ন্তান কখনও তার স’ম্পর্কের স’ম’স্যা নিয়ে আলোচনা করতে চাইবে না আপনার স’ঙ্গে। এ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আপনি নিজেই স’ন্তানের স’ঙ্গে স’ম্পর্কে থাকা পা’রস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বি’ষয়ে কথা বলা শুরু করুন। স’ন্তান নিজ থেকে বুঝতে পারবে তাদের গড়ে উঠা স’ম্পর্কে ফা’টল র’য়েছে।

স’ন্তানকে এমনভাবে বু’ঝাতে হবে যেন আপনি সবসময় তার পাশেই রয়েছেন। এমনকি অ’নুভূতিতে আ’ঘা’ত লাগলে স’ন্তান যেন আপনার বুকে মা’থা রেখে কাঁ’দতে পারে এমন স’ম্পর্ক তৈরি করে নিন। একবার যদি স’ন্তান বুঝতে পারে আপনার এই ম’নমা’নসিকতার বি’ষয়টি তাহলে সে নিশ্চিত আপনার স’ঙ্গে সকল কিছু আলোচনা করবে।

প্রতিটি স’ন্তানই মা-বা’বা থেকে তার ভালোবাসার জীবন লু’কিয়ে রাখতে চাইবে। এ নিয়ে অ’বাক হওয়ার কিছু নেই। টিনেজের ছে’লে-মে’য়েরা এমনটা করেই থাকে। এটা চিরন্তন সত্য যে, ‘দিন শেষে খা’রাপ স’ম্পর্ক এবং স’ম্পর্কে দুঃ’খ পাওয়া জী’বনের অ’ঙ্গ। প্রতিটি মা’নুষই প্রে’মে আ’ঘা’তপ্রা’প্ত’।

স’ন্তানের এই বয়সে এই ব্য’থা নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসবে তার জী’বনে। সে নতুন করে অনেক কিছু শিখবে ও জানবে। ভবি’ষ্যতে পরবর্তী কোনো সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে দ্বিতীয়বার অন্তত ভাববে। অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার চে’ষ্টা করবে।

তবে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে স’ন্তান যেন মা’নসিকভাবে ভে”ঙে না পড়ে এবং কোনোভাবে নিজের ক্ষ’তির চে’ষ্টা না করে। খুব বেশি স’মস্যা হলে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চি’কিৎসকের দ্বা’রস্থ হন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া