কিভাবে কি হয়েছিল, ইউল্যাবের সেই ছা’ত্রীর ব’ন্ধুদের মুখে ঘ’টনার লো’/ মহ০’র্ষক বর্ণনা

| আপডেট :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৩৬ অপরাহ্ণ

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শি’ক্ষার্থীর ঘটনা নিয়ে এবার বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। আর এই শি’ক্ষার্থীর সাথে কি কি ঘটেছে সে সম্পর্কে বর্তমানে অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এদিকে, এই শি’ক্ষার্থীর সাথে সেদিন তার যে বন্ধুরা ছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন কে গ্রে’ফ’তার করা হয়েছে। আর তার বন্ধুদের আ’ইনশৃঙ্খলা বা’হিনী সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জি’জ্ঞাসাবাদ করছেন। এবার ইউল্যাব ছা’ত্রী মাধুরীর বন্ধু সেদিনের ঘটনা স’ম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন।

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীর সাথে অ’নৈতিক কাজ ও তাকে হ///ত্যা///র ঘটনায় ওই ত’রুণীর বা’ন্ধবী নেহাকে গ্রে’ফ’তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। সে বর্তমানে সুস্থ কিংবা জী’বিত আছে কি-না, এ বি’ষয়ে জানতে ইতোমধ্যে অ’ভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়াও ওই ত’রুণীর বন্ধু আরাফাতের দা//ফ//ন সম্পন্ন করেছে প’রিবার। তার নিথর দে//হ ক/ব/র থেকে তো//লা//র/ও আবেদন করা হবে।

সূত্রের তথ্যে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাজধানীর উত্তরার ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে মোট ৫ জন ছিলেন। যাদের মধ্যে ওই ত’রুণীসহ আরাফাত নামের এ’কজন মা//রা গেছে। আরাফাত রাজধানীর সিটি জেনারেল হা’সপাতা’লে মা//রা গেছে। চি’কিৎসক মৃ//ত্যু//র কারণ হিসেবে অ//তি//রি//ক্ত অ’বৈধ জিনিস পা//ন উল্লেখ করেছে। মৃ//ত্যু//র পরপরই বি’ষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে তার নি’থর দে’হ দা//ফ//ন করে দেয়া হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনার র’হস্য জানতে আরাফাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। মা’ম’লার আ’সামি হিসেবে প্রয়োজনে ক//ব//র থেকে তার নি’থর দে’হ উ//ত্তো//ল//নে//র আবেদন করা হতে পারে।

আ’সা’মিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ’সেদিন যা ঘটেছিল’: গ্রে’ফ’তার মর্তুজা রাহয়ান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসিরকে জি’জ্ঞাসাবাদ ও পুলিশি ত’দন্তে ঘটনার একটি প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে। তাদের তথ্যমতে, নি’হ’ত ত’রু’ণী ও রায়হান আগে থেকেই প্রেমিক-প্রে’মিকার স’ম্পর্ক ছিল। তারা আগে থেকেই ২৮ তারিখ বিকালে দেখা করার প’রিকল্পনা করেছিলেন। এদিন বিকেলে তারা হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার সামনে একত্রীত হন। সেখানে তাদের স’ঙ্গে দেখা হয় তাদের বন্ধু আরাফাতের। সেখানে আরাফাত তাদেরকে গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে দাওয়াত আছে বলে নিমন্ত্রণ দেন। সেই দাওয়াতে যাওয়ার জন্য তারা প্রথমে আরাফাতের বাসায় (লালমাটিয়া) যান। সেখান থেকে একযোগে উবার নেন। শেষ মুহূর্তে আরাফাত তাদের জানায়, রেস্টুরেন্টের লোকেশন একটু বদল হয়েছে, উত্তরায় যাচ্ছি আমরা। তখন তারা উবার নিয়ে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে যান।

রেস্টুরেন্টে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ওই ত’রু’ণীর বন্ধু নেহা ও তার আরেক ছে’লে বন্ধু। রেস্টুরেন্টে তারা ৫ জন একত্রীত হয়ে অ’বৈ’ধ জি’নিস পা//ন শুরু করেন। অ’বৈ’ধ জিনিস সরবরাহ করে নেহার ছে’লে বন্ধু (অ//জ্ঞা//ত)।

সন্ধ্যায় পরপরই তারা একসঙ্গে অ’বৈ’ধ জিনিস খাচ্ছিল। একপর্যায়ে প্রথমে নেহা অ/সু’স্থতা বোধ করলে তার বন্ধুসহ চলে যায়। রেস্টুরেন্টে আরাফাত, রায়হান ও ওই ত’রু’ণী অ’বৈধ জিনিস পা//ন করতেই থাকে। একপর্যায়ে ওই ত’রু’ণী টয়’লেটে গিয়ে ব//মি করে। সেই অবস্থা দেখে রায়হান ও আরাফাত ওই ত’রু’ণীকে নিয়ে একসাথে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে উবার নেয়। উবারে ওই ত’রু’ণী ও রায়হানকে গুলশান-২ এ নামিয়ে দেয় আরাফাত।

গুলশান-২ এ নেমে ওই ত’রু’ণী বলে যে, সে বাসায় যাবে না, তাকে তার বা’ন্ধবী তাফসিরের বাসায় নিয়ে যেতে বলে। তখন তারা দুইজন মি’লে মোহাম্ম’দপুরের মোহাম্মাদকীয়া হোমস লিমিটেডের ৯ নম্বর ফ্ল্যাটের বাসায় যায়। সেই বাসায় তাফসির তার মার সঙ্গে থাকতো। তবে সেদিন তাফসির একা ছিল। ২৮ তারিখ রাতে তারা তাফসিরের বাসায় ঢুকে। এর পরপরই ওই ত’রু’ণী ব//মি করে। সেই ব//মি প’রিষ্কার করে তাফসির ও রায়হান। এরপর রায়হান ও ভিক্টিম ত”রুণীকে এক রুমে রেখে অন্য রুমে চলে যায় তাফসির।

তাফসিরের বাসায় শা//রী//রি//ক স’ম্পর্ক হয় ওই শি’ক্ষার্থী ও তার প্রে’মিক রায়হানের: রাতে রায়হানের স’ঙ্গে এ’কাধিকবার ওই ত’রু’ণীর শা//রী//রি//ক স’ম্পর্ক হয়। এরপর ২৯ তারিখ ভোরেই ভি’ক্টিমকে তাফসিরের বাসায় রেখে নিজের বাসায় চলে যায় রায়হান। সকাল থেকে দু//র্ব//ল বোধ করছিলেন ভিক্টিম ত’রু’ণী। দুপুরে তাফসিরের বাসায় এসে আবার খোঁজ-খবর নিয়ে যায় রায়হান। শুক্রবার মধ্যরাতে রায়হান তার বন্ধু কোকোকে ফোন দিয়ে ভি’ক্টিমের শা//রী//রি//ক অ’সুস্থতার কথা জানায়। তখন কোকো এসে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা হা’সপাতা’লে নিয়ে যায়।

তবে হাস’পাতা’লে পর্যাপ্ত আ’ইসিইউ সুবিধা না থাকায় ৪০ মিনিট পর তাকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ মে’ডিক্যাল কলেজ হা’সপাতা’লে নিয়ে যান। সেখানে আ’ইসিইউতে রাখা হয় ভিক্টিম ত’রুণীকে। তখন রায়হান ভি’ক্টিমের বা’বাকে ফোন করে এ বি’ষয়ে জানায়। ভি’ক্টিমের বাসা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। পরদিন ৩০ তারিখ মধ্যরাতে নেহার মৃ//ত্যু//র আগেই তার বাবা মোহাম্ম’দপুর থানায় এসে একটি মা’ম’লা করে। পরদিন ৩১ তারিখে তার মে”য়ের মৃ//ত্যু হয়।

সূত্র:ব্রেকিংনিউজ
এদিকে, এই ঘটনার পর দেশজুড়ে আবারও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন ছে’লে মে’য়ে বাইরে কি করে তা পরিবার থেকে কেন আগে থেকে খোঁ’জ নেওয়া হয় না। তবে বর্তমানে এই ঘ’টনা স’ম্পর্কে আ’ইনশৃঙ্খলা বা’হিনী আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করছে। আর এই ত’রু’ণীর ডাক্তারি রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করা হ’য়নি। ডাক্তারি রিপোর্ট প্রকাশ পেলে ওই ত’রু’ণীর প্রা’ণ যাওয়ার আসল কারণ জানা যাবে।