মা’য়ের স’ঙ্গে স্বা’মীর অ’ন্তর’ঙ্গ মে’লামে’শা দেখে ফে’লাই কাল হলো গৃ’হবধুর

| আপডেট :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩২ অপরাহ্ণ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শা’শুড়িকে নিয়ে পা’লিয়ে গেছেন জা’মাই। স্ত্রী’কে ফি’রে পেতে জা’মাইয়ের বি’রু’দ্ধে থানায় অ’ভিযো’গ করেছেন শ্ব’শুর।মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাতীবান্ধা থানায় এ বিষয়ে লিখিত অ’ভিযোগ করেছেন শ্বশুর নাছির উদ্দিন (৫০)। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামে মৃ’ত আব্দুল আজিজের ছে’লে।

ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে। অ’ভিযু’ক্ত জা’মাই এমদাদুল ই’সলাম ওরফে এনদা (৩৫) উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে তরিফ উদ্দিনের ছে’লে। তিনি বড়খাতা বাজারের হাজী জামে ম’সজিদ এলাকার অটোরিকশার পার্স ব্যবসায়ী। গত ২১ জানুয়ারি শা’শুড়িকে নিয়ে তিনি পা’লিয়েছেন।

এদিকে এমদাদুল ইসলাম এনদার স্ত্রী নাজনী বেগম (২২) তার নি”র্যা”তনে আ’হত হয়ে বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বা’স্থ্য ক’মপ্লেক্স ভ’র্তি হয়ে চি’কিৎসাধীর রয়েছেন।

লিখিত অ’ভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের নাছির উদ্দিনের মে’য়ে নাজনী বেগমকে বিয়ে করেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের তরিফ উদ্দিনের ছে’লে এমদাদুল ইসলাম এনদা। নাজনী বেগমকে বি’য়ের পর থেকে জা’মাই-শা’শুড়ির মধ্যে স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই মে’য়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন শাশুড়ি। এসময়ে স্ত্রী’কে ছে’ড়ে শা’শুড়ির প্রতি আ’স’ক্ত হয়ে পড়েন জা’মাই এমদাদুল। মা’য়ের স’ঙ্গে এমন স’ম্পর্ক দেখে প্রায়ই স্বা’মীর স’ঙ্গে ঝা’গ’ড়া হতো নাজনী বেগমের।

কয়েকদিন আগে নিজ বাড়িতে স্বা’মীর স’ঙ্গে মা’য়ের মে’লামে’শা দেখে ফে’লেন নাজনী। এজন্য সাত দিন ঘরে আ’টকে রে’খে তাকে মা”রধ’র করেন স্বা’মী এমদাদুল। পরে নাজনী বেগম রাতে দ’রজা ভে’ঙে খালার বাড়ি উপজেলা হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় পা’লিয়ে এসে আশ্রয় নিয়ে আ’হত অবস্থায় হাতীবান্ধা স্বা’স্থ্য ক’মপ্লেক্সে ভ’র্তি হন। এ সুযোগে শা’শুড়িকে নিয়ে সটকে প’ড়েন ইমদাদুল।

হা’স’পাতা’লে চি’কিৎসাধীন স্ত্রী নাজনী বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর সং’সার ভালোই চলছিল। কিন্তু কী থেকে কী হলো নিজেও জানি না। আমার মা আমার স্বা’মীর বাড়িতেই বেশি সময় থাকতেন। স্বা’মী ইমদাদুলের আমার চেয়ে মা’য়ের স’ঙ্গেই বেশি স’ম্পর্ক গ’ড়ে ও’ঠে। কয়েক দিন মা’য়ের স’ঙ্গে তার মে’লামে’শা দেখে ফেলি। এতে স্বা’মী আমাকে মা”রধ’র করে সাত দিন ঘ’রে তালা’ দিয়ে আ’টকে রাখেন। পরে রাতে অ’সুস্থ অব’স্থায় দ’রজা ভে’ঙে পা’লিয়ে এসে খালা বাড়িতে আশ্রয় নিই এবং হাতীবান্ধা হা’সপাতা’লে ভ’র্তি হই। এ ঘটনায় আমি হাতীবান্ধা থানায় একটি নি”’র্যা’তনের অ’ভিযোগ দিয়েছি।’

নাজনী বেগমের খালা শাহিনা বেগম (৩৫) বলেন, ‘১০ দিন আগে আমার বাড়িতে জামাই এমদাদুল ইসলাম ও আমার বড়বোন আছিতোন নেছা (৪০) আসেন। এরপর একদিন বাড়িতে অবস্থান করেই বড়বোনকে নিয়ে জা’মাই পা’লিয়ে যান। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বো’নের কোনো খোঁ’জ পাচ্ছি না। শুনতে পাচ্ছি, তিনি নাকি আমার বো’নকে বিয়ে করেছেন।’

শ্ব’শুর নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমি দিনমজুরির কাজে নোয়াখালীতে গেলে স্ত্রী আছিতোন নেছা জামাই এমদাদুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন। নোয়াখালী থেকে ফিরে এসে দেখি জা’মাইয়ের বাড়িতে আমা’র স্ত্রী নেই। জা’মাইকে আমা’র স্ত্রী কথা বললে তিনি বিভিন্ন কথা বলে এ’ড়িয়ে যান। স্ত্রী’কে ফিরে পেতে জা’মাইয়ের বি’রু’দ্ধে থানায় একটি অ’ভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে জামাই এমদাদুল ইসলাম এনদা বলেন, আমার স্ত্রী রাতে বাড়ি থেকে পা’লিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমি এলাকার সবাইকে জানিয়েছি। শা’শুড়িকে নিয়ে পা’লিয়ে গিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি তিনি অ’স্বীকার করেন।

উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল আমিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনে থানায় অ’ভিযোগ করতে বলেছি। অ’ভিযু’ক্ত জা’মাইয়ের উপযুক্ত শা’স্তি হওয়া উচিত বলে মনে করি।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অ’ভিযোগ পেয়েছি। তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্রঃ জাগো নিউজ