সিঁ’দ কে”টে চু’রি করা ১৯ মাসের শি’শু’কে উ’দ্ধারে পু’লিশের ১১ ঘন্টার রু’দ্ধশ্বা’স অ’ভিযান

| আপডেট :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

১১ ঘন্টার রু’দ্ধশ্বাস অ’ভিযানে চু’রি যাওয়া ১৯ মাস ব’য়সী শি’শুকে উ’দ্ধা’র করেছে কুমিল্লা জে’লা পুলিশের বিশেষায়িত দল।গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশ সংবাদ পায় তিতাসের উলুকান্দি গ্রামের এক বাড়ি হতে অ’জ্ঞা’ত ব্য’ক্তিরা সিঁ’দ কে”টে দুটি মোবাইল ও ১৯ মাস বয়সের এক শি’শুকে চু’রি করে নিয়ে গেছে।

জানা যায়, গৃ’হবধূ জান্নাত আক্তার (২৫) তার ১৯ মাস বয়সের শি’শু ক’ন্যা রাইসাকে নিয়ে তিতাসের উলুকান্দি গ্রামে বসবাস করতেন। তার স্বামী মোঃ হালিম দীর্ঘ দিন ধরেই প্রবাসে আছেন। ঘটনার রাতে প্রতিদিনের মতোই শি’শু কন্যা রাইসাকে নিয়ে জান্নাত আক্তার নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঘরের বাইরের শৌচাগারে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে এসে তিনি দেখতে পান যে বিছানায় তাঁর স’ন্তান নেই। এমনকি ঘরের কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন সময় তিনি দেখতে পান যে ঘরের এক কোনায় সিঁ’দ কা’টা।

জান্নাত আক্তার বুঝতে পারেন তার স’ন্তানেকে কেউ চু’রি করে নিয়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ’পরা’ধীরা চু’রি করে নিয়ে যাওয়া শি’শুকে ফিরিয়ে দেয়ার জ্ন্য মোটা অংকের টাকা দা’বি করে। তারপর থেকে তারা কিছুক্ষণ পর পরই ভি’কটিম শি’শুর মা ও চাচার কাছে টাকা চেয়ে ফোন দিতে থাকে।

সংবাদ পাবার পর চু’রি যাওয়া শি’শুটিকে সুস্থ অবস্থায় উ’দ্ধার করতে দ্রুত কাজে নেমে পড়ে তিতাস থানা পুলিশ। সে সাথে সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসারের নে’তৃত্বে যোগ দেয় কুমিল্লা জে’লা পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল। অ’ভিযানে নেমে অত্যন্ত স’তর্কতার সাথে পুরো বি’ষয়টি নেগোশিয়েশন করছিল সংশ্লিষ্ট পুলিশ স’দস্যরা। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নি’জেদের পরিচয় গো’পন রেখে কোনো প্রকার ক্ষ’য়ক্ষ’তি ছা’ড়াই শি’শুটিকে উ’দ্ধার করা।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অ’পরাধীদের গতিবিধি ও অবস্থান নির্ণয় করার পাশাপাশি বিভিন্ন পুলিশি কৌ’শল অবলম্বন করে চলতে থাকে উ’দ্ধার অ’ভিযান। অবশেষে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত পোনে ৮টার দিকে তিতাস থানাধীন বলরামপুরের একটি চর থেকে চু’রি যাওয়া শি’শুটিকে উ’দ্ধার করে পুলিশের বিশেষায়িত দলটি। এ সময় একজনকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ।

কিন্তু ততক্ষণে তীব্র শীতে শি’শুটির শা’রীরিক অবস্থা অ’ত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত তিতাস উপজে’লা স্বাস্হ্য ক’মপ্লেক্সে নিয়ে প্রয়োজনীয় চি’কিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিছুক্ষণ পর শি’শুটির শা’রীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার মা’য়ের কোলে তু’লে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় তিতাস থানায় একটি মা’ম’লা দা’য়ের করা হয়েছে এবং গ্রে’প্তার করা আ’সামিকে আ’দালতে পাঠানো হয়। ঘটনার স’ঙ্গে স’ম্পৃক্ত অন্য আ’সা’মিদেরও গ্রে’প্তা’রের চে’ষ্টা অব্যাহত আছে।