যৌবন ধরে রাখতে প্রাচীন বৃদ্ধ রাজারা যা খেতেন

| আপডেট :  ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ণ

মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শা’রীরিক শক্তিও কমতে থাকে। চলে আসে শা’রীরিক ক্লান্তিও। কিন্তু রাজ-রাজাদের রাজাদের কথা তো শুনেছেন, তারা কিভাবে অনেক দিন ধরে যৌবন ধরে রাখতে পারতো? আর তাদের মধ্যে অনেক বেশি শক্তি কিভাবে থাকতো, তাও অনেক বছর ধরে?

নিশ্চয়ই শুনেছেন যে, এক একজন রাজার অনেক রানী এবং সখি থাকতো। তাই রাজারা নিজেদের ফিট রাখার জন্য রাজারা বিভিন্ন রকমের উপায় ছিলো যেগুলো রাজারা ব্যবহার করতেন আর সেগুলো তাদের বৈদ্যরা তাদেরকে যোগান দিতেন। সেইসব কিছু তথ্যই তুলো ধরা হচ্ছে।

পূনর্নবা: পূনর্নবাকে অনেকে গদহপূরাণও বলে থাকে। এটি অনেক ব্য’থা সর্দি কাশির জন্য ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার এই পাতাকে অ্যান্টি-এজিং এবং অনাক্রম্যতা দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। উপায় অর্ধে চামচ পুনর্নবার পাউডার এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে সকাল বেলা খেতেন তারা।

সাদা মুসলি: সাদা মুসলি থেকে তৈরি ও’ষুধ বন্ধ্যাত্ব থেকে পুরুষদের বাঁচায়। এক চামচ মুসিলির পাউডারের সঙ্গে দুধ আর মিছরি মিশিয়ে রোজ সকাল বেলা খেতেন তারা। তাছাড়া এর মাধ্যমে ধূমপান থেকে আসা মা’নসিক বির’ক্তি দূর করা হতো।

আয়ুর্বেদিক উপায়: বৈদ্য এবং ফকিররা মহারাজাদের বিভিন্ন উপায় বলতেন যেগুলো তারা ব্যবহার করতেন। এই উপায়গুলোর মধ্যে সোনা, রূপা, কেশর ইত্যাদিতো ছিলই কিন্তু এমন জুড়িবুটিও ছিলো যেগুলো খুবই সস্তা এবং যা সহজেই পাওয়া যায়।

শতাবর: বন্ধ্যাত্ব, ধুমপান, ম’দ সেবন ইত্যাদি কারণে আশা ইরেকটাইল অসংযোগ স্পার্ম ঠিক করার জন্য শতাবর ব্যবহার করা হতো। উপায়-১ চামচ মিছরি, গরুর ঘি আর অর্ধেক চামচ শতাবর পাউডার মিশিয়ে সেবন করা হতো এবং তারপরে দুধের সেবন করতে হতো।

কেসর: শরীরে র’ক্তপ্রবাহ ঠিকমতো না চলার বন্ধ্যাত্বের মতোন রো’গ পুরুষের হয়। এই রো’গ দূর করার জন্য কেসর ব্যবহার করা হতো। উপায়-১ চিমটি কেশর কুসুম গরম দুধে রাতে খেতেন তারা।

শিলাজিৎ: ইমিউনিটি, বার্ধক্য, ইরেকসাইল ডিসফাংশন মানে শিরায় র’ক্তপ্রবাহ কমার কারণে শুক্রাণুর বৃ’দ্ধি কম, দুর্বলতা এই সমস্ত রো’গের জন্য শিলাজিৎ ব্যবহার করা হতো। উপায় চালের সাইজ অনুযায়ী বা এক চিমটি চালের সাইজ অনুযায়ী বা এক চিমটি শিলাজিতের গুঁড়া নিয়ে গরুর ঘি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন তারা।

আমলকি: প্রসাবের অসুবিধা, শুক্রাণু বাড়ানো এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে র’ক্তের প্রবাহ শিরায় সঠিকভাবে বাড়ানো, সে সমস্ত রো’গের জন্য আমলকী ব্যবহার করা হতো। উপায়-১ চামচ আমলকী পাউডার এবং এক চামচ মিছরি পানির সঙ্গে গুলে খেতেন। তারপর উষ্ম গরম দুধ খেতেন।

অশ্বগন্ধা: mশুক্রাণুর কমতি, ইমিউনিটি, দুর্বলতা বিভিন্ন কারণের জন্য অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। উপায়-রাতে শোয়ার আগে উষ্ম গরম দুধের সঙ্গে চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে খেতেন তারা।

তেঁতুলের দানা: শুক্রাণুর বৃ’দ্ধি, ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে র’ক্তপ্রবাহ শিরার মধ্যে সঠিকভাবে যাতে প্রভাবিত হয়। যার কারণে এনার্জি আসে, এজন্য তেঁতুলের দানা ব্যবহার করা হতো।

উপায়-তেঁতুলের দানাকে গুঁ’ড়িয়ে পাউডার বানিয়ে সেটিকে সকাল ও বিকেলে মিছরি বা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন।